কিশোর কুমার (Kishore Kumar), ভারতীয় সংগীত জগতের এক অন্যতম নক্ষত্র। বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে তো বটেই, টলিউডেও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল ৬০-৭০-৮০ এর দশকে। জেনারেশন বাই জেনারেশন শ্রোতাদের মাতিয়ে রেখেছেন কিশোর কুমার। গান গেয়েছেন অনেক হিরোর লিপে। কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) সঙ্গে তার ছিল আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। কেন জানেন?
কিশোর কুমারের চারটি বিয়ে, এই কথা প্রায় সকলেই জানেন। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী রুমা গুহ ঠাকুরতা। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৮, আট বছর টিকে ছিল তাদের সেই বিয়ে। কিশোর কুমার এবং রুমার সন্তানের নাম অমিত কুমার। রুমার সঙ্গে সংসার করতে পারেননি কিশোর। প্রথমবার বিয়ে ভাঙার পর তার জীবনে আসেন তৎকালীন সময়ের সেরা বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা।
মধুবালা এবং কিশোর কুমারের বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের বিয়েটাও খুব একটা সুখের ছিল না। মধুবালা আসলে দিলীপ কুমারের উপর রাগ করে কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন। মধুবালাকে বিয়ের জন্য কিশোর কুমার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলেও শোনা যায়। কিন্তু বিয়ের পর মধুবালা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমাগত তার শরীর ক্ষয়ে যেতে থাকে। অসুস্থতার বশে তার মৃত্যু হয়। মধুবালার শেষ সময়েও পাশে ছিলেন না কিশোর কুমার।
মধুবালার পর কিশোরের জীবনে আসেন যোগিতা বালি। ১৯৭৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু মাত্র ২ বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। যোগিতার সঙ্গে এরপর মিঠুন চক্রবর্তীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৭৯ সালে মিঠুন এবং যোগিতা বিয়ে করে নেন। এদিকে এতে কিশোর কুমার খুবই রেগে গিয়েছিলেন। রাগে ও অভিমানে তিনি মিঠুন চক্রবর্তীকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন : বিয়ের পরেও পরকীয়া! মিঠুনকে লাথ মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়েছিলেন স্ত্রী
আরও পড়ুন : ফুটপাথে রাত কাটাতেন, আজ কত টাকার মালিক মিঠুন চক্রবর্তী?
কিশোর কুমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি আর কোনও ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর জন্য গান গাইবেন না। যদিও কিছুদিন পর তাদের মধ্যে এই তিক্ততা মিটে গিয়েছিল। ‘ওয়াক্ত কি আওয়াজ’, ‘সুরক্ষা’ ইত্যাদি কিছু ছবিতে মিঠুনের জন্য গান গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। যোগিতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তার জীবনে আসেন লীনা চন্দ্রভারকর। ১৯৮০ সালে তাদের বিয়ে হয়। শেষ বয়স পর্যন্ত কিশোর কুমার এরপর লীনার সঙ্গে সংসার করেন।