জি বাংলার (Zee Bangla) ‘খেলনা বাড়ি’ (Khelna Bari) সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে দর্শকদের মধ্যে বেড়েছে। মিতুল এবং ইন্দ্রের গল্প অনেক টুইস্টের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে। এই গল্প দর্শকরা বেশ উপভোগ করেন। তার প্রমাণ পাওয়া যায় টিআরপি তালিকাতে। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে খেলনা বাড়ি স্লট লিডার। আবার টিআরপি তালিকায় অবস্থানও মন্দ নয়।
এই ধারাবাহিকের হাত ধরে নায়িকা হিসেবে পর্দায় আরাত্রিকা মাইতির (Aratrika Maity) পথ চলা শুরু হল। যাকে সকলে ‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালে মিতুর নামে চেনেন। ঝাড়গ্রামের মেয়ে আরাত্রিকা এক অত্যন্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছিলেন। ছোট থেকে তিনি সেখানেই বড় হয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নটাকেও তিনি ধরে রেখেছিলেন।
আরাত্রিকা এখনও স্কুলের গণ্ডি পার হননি। এই বছরে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। বাংলা টেলিভিশনের পর্দাতে তার প্রথম কাজ ছিল ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’। সেখানে একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যেখানে তার কোনও সংলাপ ছিল না। তিনি আরও বড় কিছু করতে চাইছিলেন কিন্তু আচমকা লকডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়াতে তাদের পরিবার চরম দুর্দশার মধ্যে পড়ে।
লকডাউনের ফলে সেই সময় আরাত্রিকাদের সংসার চালানো বেশ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। আবার ওই সময়ে অডিশন চলছিল সিরিয়ালের জন্য। ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতায় আসার ট্রেন বন্ধ ছিল। কিন্তু আরাত্রিকাকে তো কলকাতাতে পৌঁছাতেই হত। শেষমেষ মাকে দেওয়া বাবার বিয়ের আংটি বিক্রি করে তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছান।
মা-বাবার বিয়ের গয়না বেচে এইভাবে তিনি তার স্বপ্নপূরণের ঝুঁকি নিয়েছিলেন সেই সময়। আজ তিনি বাংলা সিরিয়ালের চেনা মুখ। কিন্তু এখনও পুরনো দিনের সেই স্মৃতি তিনি ভুলতে পারেন না। সেই সময় তার মনে হয়েছিল যদি তিনি কাজ না পান তাহলে এই লকডাউনে তাদের পরিবারের খাওয়াটুকুও জুটবে না। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন পর্দার মিতুল।
আরাত্রিকার জীবনের এই গল্পটা কোনও বাংলা সিনেমা কিংবা সিরিয়ালের নায়িকার তুলনায় কিছু কম নয়। আজ খেলনা বাড়ি সিরিয়ালের মিতুল হয়ে তাকে গোটা বাংলা চেনে। তিনি দর্শকদের থেকে প্রচুর ভালবাসা এবং সমর্থনও পাচ্ছেন। কলকাতা শহরের বুকে বাবা-মার জন্য একটা বাড়ি তৈরি করে দিতে চান তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বেশি প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন রয়েছে তার।