দুর্গাপুজো আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই। পুজোর জামাকাপড় কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন প্রায় সকলেই। পুজোর বাজার ধরতে কেয়া শেঠ (Keya Seth) এক্সক্লুসিভও নেমে পড়েছে মাঠে। এখান থেকে পুজোর বাজার করতে গিয়েই নাকি নকল শাড়ি পেলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর মা শতরূপা সান্যাল (Shatarupa Sanyal)। সম্প্রতি এই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেন তিনি। যার জবাব দেন কেয়া শেঠও।
কেয়া শেঠ বাংলার মহিলা ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। কেয়া শেঠের অ্যারোমাথেরাপি বিশ্ববিখ্যাত। চুল এবং ত্বকের যত্নের জন্য তার নানা প্রোডাক্ট রয়েছে। ধীরে ধীরে তিনি তার ব্যবসা বাড়ান এবং শাড়ি এবং গয়না নিয়েও কাজ শুরু করেন। বাজারে বেশ ভালো পরিচিতি রয়েছে তার। তারই প্রোডাক্ট কিনা ভুয়ো বেরোলো? ব্যাপারটা কী?
সম্প্রতি শতরূপা সান্যাল সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্টে লেখেন, “এমনিতে সারাবছরই অনলাইন কেনাকাটা করি। আজকাল যেভাবে মেয়েরা শাড়ি, গয়নার ব্যবসা করছে তার যেমন প্রশংসা করি তেমনি শপিংও করি। একদম যে ঠকিনি তা নয়, তবে অল্প টাকার ক্ষতি হয়েছিল যেটা ধরার মত নয়, তাদের চিনে যাওয়ায় আর কিছু কিনিনি। অসুবিধা হল ‘কেয়া শেঠ এক্সক্লুসিভ’ নামক বিক্রেতার থেকে শাড়ি কিন্। সিল্ক বোমকাই বলে একটা নকল শাড়ি চালিয়ে দিল তাঁরা, তাও ৫০০০ টাকা দাম। জেতার দাম হয়তো একহাজারও হবে না। তৎক্ষণাৎ কাস্টমার কেয়ারে জানাই যে ফেরত দিতে চাই। তো জানানো হয়, ‘ফেরত ও হয় না বদল ও হয় না’। লোক ঠকানোর কি নির্লজ্জ্ব ধান্দা ! আমার পুরো টাকাটাই জলে গেল।”
এর উত্তর দিয়েছেন কেয়া শেঠও। তিনিও ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন আসল সত্যি ঘটনা। তিনি জানান শতরূপা যে শাড়িটি কিনেছেন তার বাক্সে লেখা ছিল সেটা নন পিওর অর্থাৎ আসল সিল্কের শাড়ি নয়। তিনি যখন অনলাইনে কিনেছিলেন তখন তাকে প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন ভালো করে দেখে নিতে হত। কোনও কিছু না দেখে শাড়িটি যখন কিনেছেন তখন প্রতিষ্ঠানের কিছু করার নেই সেখানে। তাই এই ভুল শতরূপার নিজের ভুল ছিল। কেয়া শেঠ এক্সক্লুসিভের শাড়ি ফেরতের ব্যবস্থা নেই যদি না শাড়ি ছেঁড়া ও ফাটা বের হয়।
আরও পড়ুন : “চটি চাটা!”, চূড়ান্ত অপমানের পর মুখ খুললেন নচিকেতা চক্রবর্তী
আরও পড়ুন : চাপের মুখে চরম পদক্ষেপ, অরিজিৎ সিংয়ের সিধান্তে ভক্তদের মাথায় হাত
কেয়া আরও বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন অনেক শতরূপা রয়েছেন যারা ছোট ঘটনাকে বড় করে ব্যাখ্যা দেন এবং নিজেদের ভুল অন্যের উপর চাপিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, কেয়ার অভিযোগ, বহুদিন আগে একটি চিত্রনাট্যের গল্প শোনানোর জন্য শতরূপা কেয়া শেঠকে চেয়েছিলেন প্রযোজক হিসেবে। সেই ফোন নাম্বার এখনও চালু আছে। সরাসরি ফোন না করে সোশ্যাল মিডিয়াতে কুৎসা করে শতরূপা তার সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেয়েছেন বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন কেয়া।