সইফের সঙ্গে সঙ্গমের ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছেন, নিজের যৌন জীবন নিয়ে বিস্ফোরক করিনা বেগম

বলিউড (Bollywood) তারকাদের মধ্যে করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan) এবং সেইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) জুটি নিয়ে সবসময় পেজ থ্রির পাতা সরগরম থাকে। প্রেমে আঘাত খেতে খেতে সেইফের কাছে এসে থিতু হন করিনা। অন্যদিকে সেইফও অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে তার প্রথম বিয়ের ব্যর্থতা ভুলে করিনার সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করেন। আজ দুই সন্তানকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন তারা। ২০১২ সালে গাঁটছড়া বাঁধার পর দেখতে দেখতে একে অপরের সঙ্গে দশটা বছর কাটিয়েও দিলেন এই দম্পতি।

১০ বছরে তৈমুর এবং জাহাঙ্গীর এসেছে করিনার কোলে। সন্তান গর্ভে ধারণ করা থেকে শুরু করে জন্মের পর তাকে কোলে তুলে নেওয়া, তাই দেখাশোনা করা থেকে শুরু করে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত যৌন জীবন সব কিছু নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাকে একটি বইয়ের মধ্যে লিপিবদ্ধ করেন করিনা। সেখানে হবু মায়েদের পথ দেখানোর জন্য করিনা তার জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা লিখে রেখেছেন। সেই বইয়ের নাম ‘করিনা কাপুর’স প্রেগনেন্সি বাইবেল’।

এই বইয়ের মধ্যে গর্ভধারণের সময়কালীন নিজের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন করিনা। তবে শুধু এই বইয়ের মধ্যে নয়, কাছের বন্ধু করণ জোহরের কফি উইথ করণেও এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন করিনা। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন যৌন জীবনে তার ইচ্ছে-অনিচ্ছের বিষয়ে অকপটে মুখ খোলেন করিনা। তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সময় তার যৌন ইচ্ছাই চলে গিয়েছিল।

করণ করিনাকে জানতে চেয়েছিলেন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একজন নারীর যৌন কামনা কেমন হয়? ওই সময় নিজের সম্পর্কে কী অনুভব করেছিলেন করিনা? এই প্রশ্নের উত্তরে করিনা বলেন তার নিজের স্ফিত পেটটি দেখে নিজেকে খুব সুন্দরী মনে হত। সইফকে সেকথা বললে তিনিও বলতেন করিনাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। করিনা আরও বলেন, এমন সময়ে একজন মেয়েকে যৌনতার জন্য জোর করা উচিত নয়।

করিনার কথায়, মেয়েদের ভাবনা এবং অনুভূতিগুলোকে এই সময় প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “আপনার স্বামী যদি আপনার অনুভূতিই না বোঝেন, তবে তিনি আপনার সন্তানের বাবা হবেন কী করে?” করিনা আরও জানিয়েছিলেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন সইফ তাকে চোখে চোখে রাখতেন। স্ত্রীর ইচ্ছে-অনিচ্ছেকে গুরুত্ব দিতেন তিনি। শারীরিক সমস্যার জন্য স্ত্রী যৌন ইচ্ছা হারিয়ে ফেললেও সইফ তার পাশে ছিলেন।

সইফ এবং করিনা এভাবেই সব সময় একে অপরের পাশে থেকেছেন। তবে ইদানিং অবশ্য সন্তানদের নিয়ে তাদের মধ্যে কিছু কথা কাটাকাটি বেঁধে যায়। বিশেষত গভীর রাত পর্যন্ত তৈমুরকে নিয়ে টিভি দেখার অভ্যেসের কারণে সেইফকে বকা খেতে হয় করিনার কাছে। সেইফের এই অভ্যাসের উপর ভীষণই বিরক্ত করিনা। তৈমুরের পড়ার সময়ও নাকি সইফ পড়ার ঘরে টিভি চালিয়ে বসে থাকেন! এই নিয়ে দুজনের মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া বাঁধে। এছাড়া দুই সন্তান নিয়ে সুখেই সংসার করছেন দুজনে।