সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না করিনা কাপুর খানের (Kareena Kapoor Khan) জন্য। ‘তৃতীয় সন্তান’কে নিয়ে আইনি জটিলতায় জড়িয়েছেন তিনি। ছুটতে হল আদালতেও। ২০২১ সালে প্রকাশিত তার লেখা বই ‘করিনা কাপুর খানস প্রেগনেন্সি বাইবেল: দ্য আল্টিমেট ম্যানুয়াল ফর মমস টু বি’কে কেন্দ্র করে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। আইনি নোটিস পেয়েছেন করিনা।
দ্বিতীয় সন্তান জাহাঙ্গীরের জন্মের পর করিনা কাপুর প্রেগনেন্সি বাইবেল নামের একটি বই লেখেন। তাতে তিনি তার মাতৃত্বকালীন নানা বিষয়ের খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। বইটিকে নিজের তৃতীয় সন্তান বলেন করিনা। কিন্তু এই বইয়ের শিরোনামে বাইবেল কথাটি উল্লেখ করেই বিপাকে পড়েছেন তিনি। যে কারণে তাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বইটির নাম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে অ্যাডভোকেট ক্রিস্টোফার এন্টনি প্রথমে পুলিশের কাছে এফ আই আর দায়ের করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এরপর তিনি যান নিম্ন আদালতে। নিম্ন আদালতেও মামলাটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। এরপর তিনি যান অতিরিক্ত দায়রা আদালতে। সেখানেও মামলাটি খারিজ হয়ে গেলে ওই আইনজীবী মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে মামলা করেছেন। যার দরুন এই বছরের মে মাসে করিনার কাছে নোটিশ গিয়েছে।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে করিনার আইনজীবী দিব্যা কৃষ্ণ বিল্লাইয়া এবং নিখিল ভাট আদালতে হাজির হন। তারা জানিয়েছেন কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য করিনা এই কাজ করেননি। বইটি আদতে কোনো সম্প্রদায়কে ধর্মীয় আঘাত করার জন্য লেখা হয়নি। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানের দিন ধার্য করেছে ১০ই নভেম্বর।
আরও পড়ুন : ইসলাম গ্রহণ করে গোপনে বিয়ে! ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের প্রথম স্বামী কে?
আরও পড়ুন : বয়কট দিদি নাম্বার ওয়ানের ডাক! কী হবে রচনা ব্যানার্জীর শোয়ের ভবিষ্যৎ?
বইয়ের নামের সঙ্গে বাইবেল শব্দটি জুড়ে দিয়েই কার্যত বিপাকে পড়েছেন অভিনেত্রী। অনেকের দাবি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের নাম নিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করেছেন করিনা। বাইবেল সারা বিশ্বে খ্রিস্টান ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ। বাইবেলের সঙ্গে করিনা কাপুরের গর্ভাবস্থার তুলনা করা ঠিক হয়নি। সস্তায় প্রচার পাওয়ার জন্যই নাকি করিনা এমনটা করেছেন।