এক কাপড়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন, খোঁজ রাখেনা বাবা! পর্দার প্রিয়াঙ্কার জীবন খুবই কষ্টের

মাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছেন, খোঁজ রাখে না বাবাও! পর্দার প্রিয়াঙ্কার জীবন শুনলে চোখে জল আসবে

শিমুলের সঙ্গে ডিভোর্স মিটে যেতেই পরাগ এবং প্রিয়াঙ্কার আশীর্বাদ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। পরাগের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকে তার পরিচয়, তিনি শিমুলের সতীন। কিন্তু পর্দায় যাকে দেখে আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়, তিনি ব্যক্তিগত জীবনে কতটা কষ্ট করেছেন জানলে আপনিও দুঃখ পাবেন। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ান – এর মঞ্চে এসে প্রিয়াঙ্কা ওরফে বর্ণিনী চক্রবর্তী (Barninee Chakraborty) জানালেন নিজের জীবনের স্ট্রাগলের কথা।

পরাগের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাস্তব জীবন বড্ড কঠিন..

পর্দায় যাকে সব সময় খলনায়িকার চরিত্রে দেখা যায় সেই বর্ণিনীর জীবনের কথা শুনলে চোখে জল চলে আসবে আপনার। ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ছাড়াও এই মুহূর্তে অভিনেত্রী অভিনয় করছেন ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকে। সেখানেও নেগেটিভ চরিত্রেই অভিনয় করছেন তিনি। তবে সব সময় যে মেয়েটিকে আমরা নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখি, সেই অভিনেত্রীর বাস্তব জীবন কিন্তু খুবই কষ্টের।

KAR KACHE KOI MONER KATHA

ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে শুরু হয় কেরিয়ার

সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে অভিনেত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকেই নাচ এবং গানে ভীষণ আগ্রহ ছিল তার। ক্লাসিক্যাল গানে তালিমও নিয়েছিলেন তিনি। মায়ের কাছেই শিখেছিলেন আবৃতি। অ্যালেন স্যারের হাত ধরে জি বাংলায় বেশ কয়েকটি পোগ্রামে ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে কাজও করেছিলেন অভিনেত্রী। বেশ ভালোই চলছিল দিন, কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটে বিপত্তি।

পারিবারিক জীবনে চরম অশান্তি

বর্ণিনীর বাবা হঠাৎ করেই পারিপার্শ্বিক কথার চাপে মেয়েকে কাজ করতে মানা করে দেন। বাবার মত অনুযায়ী, মেয়েদের স্থান সবসময় বাড়ির ভেতরে, তাই বাড়ির বাইরে মেয়েকে তিনি কিছুতেই কাজ করতে দেবেন না। কিন্তু ততদিনে অল্প অল্প করে কাজ করতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী তাই এই কথা তিনি কিছুতেই মানতে পারেননি। এর মধ্যেই বাবা যখন বিয়ের ব্যবস্থা করতে শুরু করেন তখনই অভিনেত্রী নেন চরম সিদ্ধান্ত।

KAR KACHE KOI MONER KATHA

শুরু হয় নতুন জীবন সংগ্রাম

বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হতেই একদিন অভিনেত্রী থানায় গিয়ে বলেন, “আপনারা কিছু একটা ব্যবস্থা করুন আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে চাই।” ২০১৯ সালে এক কাপড়ে মাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। চলে এসেছিলেন কলকাতায়। শুরু হয় জীবন সংগ্রাম। দু একটি কাজের পরেই হঠাৎ করে জি বাংলার হাত ধরে একটি বড় ব্রেক পেয়ে যান তিনি। তখন থেকেই পথ চলা শুরু।

অভিনয়ের পাশাপাশি চলছে ইউটিউব কাপল ব্লগিং

অভিনেত্রী দুঃখ করে বলেন,” ২০১৯ সাল থেকে এতগুলো বছর হয়ে গেল কিন্তু বাবা একবারও খোঁজ নেন নি। মাঝে মাঝে অবশ্যই খারাপ লাগে এটা ভাবলে যে বাবা একবারও বুঝলো না আমাদের।” এই মুহূর্তে টেলিভিশনের পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী কাজ করার পাশাপাশি ইউটিউবেও চালাচ্ছেন নিজস্ব একটি চ্যানেল।

আরও পড়ুন : চাকরি ছেড়ে অভিনয়ে এসে অবিরাম জুটছে অভিশাপ! ‘বাবুউউ’র মা হয়ে রাস্তাঘাটেও ভুগছেন অরিজিতা

Barninee Chakraborty

আরও পড়ুন : আগুনে ঝলসে গিয়েছিলেন মা! মহুয়া রায়চৌধুরী মৃত্যুর পর কেমন আছে তার একমাত্র ছেলে?

প্রেমিক রুদ্রের সঙ্গে কাপল ব্লগিং করেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর কথায়, তার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারই বলেছিলেন কাপল ব্লগিং শুরু করতে। দর্শকরাও বেশ পছন্দ করেন বর্ণিনী এবং রুদ্রকে একসঙ্গে ইউটিউবে দেখতে। সব মিলিয়ে নিজের জীবনের সাফল্য এই ভাবেই অল্প অল্প করে অর্জন করছেন পর্দার প্রিয়াঙ্কা।