বাঙালি হয়েও রবীন্দ্রনাথের অপমানে হেসে গড়ালেন কাজল! ছিঃ ছিঃ করছে গোটা দেশ

বাঙালি হয়েও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) অপমান শুনে হেসে গড়ালেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল (Kajol)। সম্প্রতি দ্য কপিল শর্মা শোয়ে (The Kapil Sharma Show) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গান নিয়ে ঠাট্টা করা হয়। সেটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েন কাজল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের অপমান ভালো চোখে নেননি নেটিজেনরা। দ্য কপিল শর্মা শোয়ের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে রীতিমত ক্ষোভ বাড়ছে।

কিছুদিন আগে কপিল শর্মা শোয়ের একটি এপিসোডে কাজলকে অতিথি হিসেবে ডেকে আনা হয়। এই শোয়ের একজন আর্টিস্ট ক্রুষ্ণা অভিষেক কাজলকে হাসানোর জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ‘একলা চলো রে’ বিকৃতভাবে গেয়ে শোনান। মজা করতে গিয়ে এদিন শোয়ের কলাকুশলীরা তাদের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছেন বলে দাবি নেটিজেনদের। ঠাট্টা এবং অপমানের মধ্যে বিন্দুমাত্র পার্থক্য ছিল না, এমনটাই বলছেন নেটিজেনরা‌।

The Kapil Sharma Show

এই ঘটনা প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে কলম ধরেছেন কবি শ্রীজাত। তিনি লেখেন, “দিনপাঁচেক আগে কপিলের নতুন শোয়ে অভিনেত্রী কাজল ও কৃতী স্যানন উপস্থিত থাকেন। সেই পর্বের মাঝামাঝি সময়ে কপিলের এক সহকারী শিল্পী বা কৌতুকাভিনেতা কৃষ্ণ অভিষেক উপস্থিত হন (যিনি নিজের নাম Krushna Abhishek লেখেন), এবং সম্ভবত কাজলকে বাঙালি বংশোদ্ভুত হিসেবে পেয়েই রবীন্দ্রনাথের একটি গানকে মস্করার সরঞ্জাম হিসেবে বেছে নেন। ‘একলা চলো রে’ গানটি নিয়ে কৃষ্ণ অভিষেক যে-ব্যাঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি ও কথাবার্তার উদ্রেক করেছেন, তা সম্মান ও শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে বহুদূর চলে গেছে, অন্তত আমার চোখে।”

তিনি আরও লিখেছেন, “একটা ছোটখাটো অনুষ্ঠানেও স্ক্রিপ্ট তৈরি ক’রে দেবার জন্য একাধিক লেখকের দল থাকে, সেই চিত্রনাট্য অনুযায়ী অনুষ্ঠানের চলন সাজানো হয়, সঞ্চালক বা শিল্পীদের কথার বেশ কিছু অংশও সেই সাজানো স্ক্রিপ্টের আওতায় পড়ে। শো-এর চিত্রনাট্য লেখার জন্য নির্দিষ্ট লেখকরা আছেন এবং নিঃসন্দেহে কপিল শর্মারও সে-বিষয়ে বক্তব্য, সংযোজন ও সম্মতি আছে। তাই যদি ধরে নিই, তাহলে বলতে হয়, এঁরা সম্প্রতি জেনে বা না-জেনে একটি অন্যায় করেছেন। ভুল নয়, অন্যায়। আমি স্পষ্ট ভাষায় তার বিরোধিতা করছি।”

শুধু তাই নয়, যদি শো নির্মাতারা ক্ষমা না চান তাহলে আইনি পথে হাঁটবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রীজাত। বাঙালি হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই অপমান কিছুতেই মুখ বুজে মেনে নেবেন না তিনি। তাকে সমর্থন জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার অধিকাংশ মানুষ। শ্রীজাত এও বলেছেন তিনি কপিল শর্মার অনেক বড় ভক্ত। কিন্তু ক্রুষ্ণা অভিষেক যেভাবে রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি এবং কথাবার্তা বলেছেন তা তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। এদিনের এপিসোডে শালীনতার সব মাত্রা অতিক্রম করে ফেলেছেন ক্রুষ্ণা, এমনটাই বলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন : মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করেছিলেন মিঠুন! মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ প্রথম স্ত্রীর

KAJOL

আরও পড়ুন : মোটিভেশনাল স্পিকার জয়া কিশোরী আসলে কে? রইল তার আসল পরিচয়

অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার বাসিন্দারা কিন্তু কাজলের উপর খুবই রেগে গিয়েছেন। কারণ ওই দিন মঞ্চে উপস্থিত তারকাদের মধ্যে কেউই বাঙালি ছিলেন না। একমাত্র কাজল ছিলেন বাঙালি। তিনি বাঙালি হয়েও কীভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই অপমান শুনলেন এবং তাতে মজা পেলেন সেই প্রশ্ন উঠছে বারবার। কাজলকে ‘বাঙালির লজ্জা’ও বলছেন অনেকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এমন অপমানে খুবই ক্ষুব্ধ আপামর ভারতবাসী।