মালাবদল থেকে সিঁদুর দান, দেখুন কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের ফটো অ্যালবাম

Kanchan Sreemoyee Wedding : ২ রা মার্চ শনিবার। বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattoraj)। শনিবার সন্ধ্যায় দুই পরিবার এবং আত্মীয়দের উপস্থিতিতে দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাতক ক্লাবে তাদের বিয়ের আসর বসেছিল। মালাবদল, শুভদৃষ্টি থেকে সাত পাক, সবই হল নিয়ম মেনে। বিয়ের পর নব দম্পতির ছবিও এসেছে প্রকাশ্যে। দেখুন সেই ছবি।

Kanchan Sreemoyee Wedding

বিয়ের দিন লাল টুকটুকে বেনারসি পরেছিলেন শ্রীময়ী। সঙ্গে গা ভর্তি সোনার গয়না, শোলার মুকুট, আকন্দ ফুলের মালা ছিল। কাঞ্চন পরেছিলেন সাদা রঙের পাঞ্জাবি এবং ধুতি। বিয়ের বেনারসির ডিজাইন ঠিক করে দেওয়ার কথা ছিল মুম্বাই থেকে আগত ডিজাইনারের। কিন্তু তাড়াহুড়োর মধ্যে শ্রীময়ীকে নিজেকেই ডিজাইন ঠিক করতে হয়েছে। কাঞ্চনের পোশাকের ডিজাইনও তিনিই বেছে দিয়েছেন।

Kanchan Sreemoyee Wedding

প্রথমে অবশ্য ৬ তারিখে কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর বিয়ের কথা শোনা গিয়েছিল। তবে শনিবার হঠাৎ করেই বেলার দিকে কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর গায়ে হলুদের ছবি প্রকাশ্যে আসে। তার আগে তাদের আইবুড়ো ভাত এবং মেহেন্দির ছবিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল। তড়িঘড়ি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন দুজনে। তবে বিয়ের রীতিনীতি মিস করেননি একটাও।

কাঞ্চন মল্লিক শ্রীময়ী চট্টরাজের বিয়ের মেনু

কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর বিয়ের মেনুতে ছিল সম্পূর্ণ বাঙালিয়ানা। বাঙালি খাবারদাবারই পছন্দ করেন বর-কনে। মেনুতে তাই ছিল কড়াইশুঁটির কচুরি, আলুর দাম, ফিশ ফ্রাই, মটন কষা, পোলাও। সকলের মনেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কেন ৬ তারিখ বিয়ের কথা বলেছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী? এত তড়িঘড়ি বিয়ের কারণ কী?

Kanchan Sreemoyee Wedding

কেন বিয়ের কথা গোপন করলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী?

আসলে ২ রা মার্চ যে বিয়ে হতে চলেছে সেই কথা সম্পূর্ণ গোপন রাখতে চেয়েছিলেন তারা। ৬ তারিখ আছে রিসেপশন। আর এই রিসেপশনের অনুষ্ঠানের জন্যই যে আমন্ত্রণপত্র অতিথিদের হাতে পৌঁছেছে সেখানে ৬ তারিখের অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রির পরিচিতরা উপস্থিত থাকবেন।

আরও পড়ুন : কাঞ্চনের থেকে কত ছোট শ্রীময়ী? বয়সের পার্থক্য শুনলে হাঁ হয়ে যাবেন

Kanchan Sreemoyee Wedding

আরও পড়ুন : হাঁটুর বয়সী মেয়েদের কীভাবে আকৃষ্ট করে কাঞ্চন? শুনে নিন স্ত্রী পিঙ্কির মুখেই

৫৩ এর কাঞ্চন এবং ২৭শের শ্রীময়ীর বিয়েকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়াতে জোরদার সমালোচনা চলছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে কাঞ্চন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, “শ্রীময়ী আমায় বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের উপর দিয়ে বিশ্বাস হারাতে দেয়নি। ওর মতো মানুষ হয় না। আমার জীবনে ওর অবদান অনেকটাই। আমার জীবনের পরশপাথর ও। আমি যখন অ্যালকোহলিক হয়ে পড়ি তখন ও আমায় মনের সাহস জুগিয়েছে। ওর জন্যই এই নেশা থেকে বেরোতে পেরেছি।”