“সঞ্জয় আর একটা ধনঞ্জয় হতে পারে!” জয়জিতের মন্তব্যে তোলপাড় শোস্যাল মিডিয়া

সাল পেরিয়ে যায়, কিন্তু অবস্থা বদলায় না। কয়েক দশক আগেও সমাজে নারীর অবস্থান যেমন ছিল, আর জি করের মত ঘটনা প্রমাণ করে দেয় অবস্থার উন্নতি কিছুই হয়নি। বরং নারীদের প্রতি নৃশংসতা আরও বেড়েছে। কিন্তু প্রকৃত বিচার মিলছে কি? আসল অপরাধী শাস্তি পাচ্ছে কি? আরজিকরের ঘটনাতে কার্যত এই প্রশ্ন উঠছে কারও কারও মনে। যেমনটা উঠছে অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Joyjit Banerjee) মনেও।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেছেন জয়জিৎ। তিনি লিখেছেন, “সমস্ত রাজনৈতিক কর্মী সমর্থক IT সেলের মানুষ সক্কলকে বলছি মন ভোরে গালি দিন আমাকে কোনো চাপ নেই কিন্তু সঠিক বিচার চাই। আজকের সংবাদপত্র পড়ে মনে হচ্ছে আরেকটা ধনঞ্জয় কেস হতে পারে এটাও। ধনঞ্জয় কিন্তু ফাঁসিতে ঝোলার আগেও বলে গেছিলো সে নির্দোষ। কাউকে বলির পাঠা করা হচ্ছে নাতো?! যারা প্রকৃত দোষী তারা যেন প্রত্যেকে শাস্তি পায়।”

Joyjit Banerjee

আজ থেকে তিন দশক আগে হেতাল পারেখ এবং ধনঞ্জয়ের কেসের ক্ষেত্রে উঠেছিল এরকম প্রশ্ন। হেতালকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়। যদিও ধনঞ্জয় আদেও আসল অপরাধী কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক চাপে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করেন ধনঞ্জয় সেই সময় নির্দোষ ছিল। বিনা অপরাধে শাস্তি হয়েছে তার।

আনন্দবাজারের কাছে জয়জিৎ বলেন তিনি জানেন মুখ খুললেই তার প্রতি কটাক্ষ আসবে। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাই সত্যি কথা বললে তাকে টার্গেট করা হচ্ছে। যদিও তাতে তার কোনও আপত্তি নেই। তিনি মনে করেন প্রতিবাদের ভাষা ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়। কিছু না জেনেই তাকে নিশানা করা হচ্ছে।

প্রতিবাদের অংশ হয়ে জয়জিৎ কেন রাস্তায় নামেননি সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। এই প্রসঙ্গে জয়জিত বলেছেন, ‘‘আমি নাকি রাস্তায় নামিনি! আমি তো জনে জনে প্রমাণ দিতে পারব না, সেটা আমার দায়িত্বও নয়। যাঁদের খবর রাখার, তাঁরা ঠিকই জানেন।’’ জয়জিৎ কোনও সস্তা প্রচারের টানে মিছিলে হাঁটেননি। অভিনেতার কথায়, ‘‘নিজের মন আমাকে বলেছে, প্রতিবাদ করা উচিত, মিছিলে হাঁটা উচিত। তাই হেঁটেছি।’’

আরও পড়ুন : চাপের মুখে চরম পদক্ষেপ, অরিজিৎ সিংয়ের সিধান্তে ভক্তদের মাথায় হাত

RG KAR INCIDENT

আরও পড়ুন : “চটি চাটা!”, চূড়ান্ত অপমানের পর মুখ খুললেন নচিকেতা চক্রবর্তী

আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার পরপরই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয় যার নাম সঞ্জয় রায়। কিন্তু সকলেই মনে করছেন এমন ঘটনার পেছনে সঞ্জয়ের একার হাত থাকতে পারে না। আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন এর পেছনে। রয়েছে আরও অনেক রহস্য। কবে খুলবে সেসব রহস্যর জট?