বলিউড (Bollywood) সেরা কমেডিয়ানদের মধ্যে প্রথম সারিতেই নাম উঠে আসে জনি লিভারের (Johnny Lever)। একটা সময় ছিল যখন বলিউডের প্রায় প্রতিটি ছবিতে কমেডিয়ান হিসেবে তার চরিত্র ছিল বাঁধা। এমনকি পরিচালকরাও তাকে লাকি চার্ম বলে মানতেন। ৯০ এর দশকে বছরে এক ডজনেরও বেশি ছবিতে কাজ করতে হত জনি লিভারকে। কিন্তু এখন আর বলিউডে তার দেখাই মেলে না।
অতি সম্প্রতি রোহিত শেট্টির ‘সার্কাস’ ছবিতে ফের ধরা পড়েছিল জনির ম্যাজিক। বছরের পর বছর গড়িয়ে গেলেও তার প্রতিভা যে ফুরিয়ে যায়নি তা তিনি প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন এই সিনেমাতে। তবুও বলিউড তাকে যোগ্য সম্মান দিল না। তাই জনি লিভারের মনের মধ্যে জমে রয়েছে হতাশা। বলিউডের ষড়যন্ত্রে নাকি আজ তার এই পরিণতি। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
জনির কথায়, “সেই সময় পরিচালকরা আমার উপর ভরসা করত। অনেক দৃশ্যে নিজের মত করে অভিনয় করেছি। যা কমেডি দৃশ্যগুলোকে আরও সুন্দর করে তুলত।” তবে এখন আর বলিউডে কমেডির বাজার তেমন নেই। কিন্তু যখন কমেডি চলত তখন বলিউড হিরোদের ষড়যন্ত্রের কারণেই জনি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
জনি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন, “কখনও কখনও হিরোরা ভয় পেত। এর জেরে আমার দৃশ্যে কাঁচি চালানো হত। আমার সিন থেকে নায়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো। এমন কি লেখকদের বলতো ওদের কমেডি দৃশ্য যেন দেওয়া হয়। এরপর কমেডি দৃশ্যগুলো লেখকরা ভাগ করে দিতে শুরু করল। ধীরে ধীরে আমার চরিত্রগুলো ছোট হতে শুরু করল। আজ তো কমেডিই আর নেই ছবিতে।”
জনি তার দীর্ঘ ফিল্মি জীবনে ৩০০ এর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ‘তুম পর হাম কুরবান’ ছবি দিয়ে আশির দশকে বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। প্রথম ছবিতেই দুর্দান্ত অভিনয়ে তিনি নজর কেড়েছিলেন। এরপর পরিচালক তথা অভিনেতা সুনীল দত্তের নজরে পড়েন জনি। তারপর তাকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। ‘দর্দ কা রিস্তা’ ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয় করার পর তিনি আরও জনপ্রিয়তা পান।
জনি অবশ্য বড় পর্দায় আসার আগে থেকেই মানুষের বিনোদনের জন্য কাজ করে চলছিলেন। তিনি মিমিক্রি আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। তারপর সেখান থেকেই স্ট্যান্ড আপ কমেডিতে চান্স পেতে থাকেন তিনি। তার দুই সন্তান জেমি এবং জেসিও বাবার মত কমেডিয়ান হওয়ার পথে পা বাড়িয়েছেন। জনির কন্যা জেমি লিভার মিমিক্রি আর্টিস্ট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন।