শুটিং দেখানোর নাম করে নিজের বোনকে ধর্ষণ, জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

বলিউড (Bollywood) তারকাদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অবাক করে দেওয়ার মত খবর মাঝে মধ্যেই সংবাদ মাধ্যমের পাতায় উঠে আসে। আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে বলিউড সুপারস্টার জিতেন্দ্রর (Jeetendra) বিরুদ্ধে যেমন যৌন নির্যাতনের (Sexual Harrasment) ভয়ংকর অভিযোগ এনেছিলেন তার মামাতো বোন। তবে ঘটনাটি ছিল আরও বেশ কয়েক দশকের পুরনো। অভিযোগকারিণীর দাবি ছিল তার দাদা নাকি শুটিং দেখানোর নাম করে হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন।

তিনি তার পরিচয় গোপন রেখে পুলিশকে গোপন জবানবন্দিতে জানিয়েছিলেন তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছর। অন্যদিকে জিতেন্দ্রর বয়স তখন ছিল ২৮ বছর। সেই সময় তিনি তার দাদার শুটিং দেখতে যাচ্ছিলেন। দিল্লি থেকে সিমলা যাওয়ার পথে একটি হোটেলে উঠেছিলেন তারা। সেখানেই নাকি ঘটে যায় এই অঘটন।

জিতেন্দ্রর বোন জানিয়েছিলেন একই ঘরের আলাদা আলাদা খাটে শুয়েছিলেন তিনি এবং জিতেন্দ্র। রাত বাড়লে জিতেন্দ্র নাকি মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢোকেন। সেই সময় তার বোন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আচমকাই তিনি টের পান যৌনাঙ্গ দিয়ে তার শরীর স্পর্শ করছেন জিতেন্দ্র। বাধা দিতে গিয়েও তিনি ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পর জিতেন্দ্র নিজের খাটে চলে যান।

পরের দিন সকালে জিতেন্দ্র তার সঙ্গে একটি কথাও না বলে লোক দিয়ে তাকে কিছু নতুন জামা-কাপড় কিনে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এত বছর বাদে জিতেন্দ্রর কুকীর্তি জেনে তখন শিউরে উঠেছিল বলিউড। প্রশ্ন উঠেছিল কেন এতদিন চুপ করে রইলেন ওই মহিলা? কেন তিনি আগেই অভিযোগ করলেন না? এর জবাবে তিনি বলেছিলেন জিতেন্দ্র ছিলেন প্রভাবশালী। তার উপর ভাগ্নের এমন কীর্তি শুনলে তার বাবা কষ্ট পেতেন।

বাবা-মা বেঁচে ছিলেন বলেই এতদিন চুপ ছিলেন ওই মহিলা। তারা গত হতেই জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি অভিযোগ করেন। সে সময় বলিউডে মিটু আন্দোলন চলছিল। তিনিও অভিযোগ করার সাহস পেয়েছিলেন। তিনি বলেন এই ঘটনা তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। বহু বছর পর্যন্ত তিনি রাতে ঠিক করে ঘুমোতেও পারেননি।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন জিতেন্দ্র। উল্টে তিনি তার আইনজীবী মারফত জানান নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জিতেন্দ্রকে সামাজিকভাবে অপদস্থ করার চেষ্টা চলছে। তবে তিনি যতই বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করুন না কেন আজও কিন্তু জিতেন্দ্রর কুকীর্তি নিয়ে বলিউডের অন্দরে সমালোচনা চলে। বোনের মুখ বন্ধ করতে পারলেও সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে পারেননি জিতেন্দ্র।