যিশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta) এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit Chatterjee), টলিউডের (Tollywood) এই দুই নায়কের মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে অনেক জল্পনা রয়েছে। টলিউডে গুঞ্জন অভিষেক চ্যাটার্জীর মত নাকি যিশু সেনগুপ্তর কেরিয়ার নিজের ফেমের আড়ালে চাপা দিয়ে রেখেছিলেন প্রসেনজিৎ। মাথা তুলে দাঁড়াতেই নাকি দেননি তিনি। বাস্তবে কতটা সত্য এই গুঞ্জন?
যিশু সেনগুপ্তের মত একজন প্রতিভাবান অভিনেতা যে তার কেরিয়ারের প্রথম দিকে টলিউডে সেভাবে পাত্তা পেতেন না সেকথা অস্বীকার করা যায় না। বেশিরভাগ ছবিতে তাকে হয় নায়কের ভাই কিংবা বন্ধু চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যেত। কেউ কেউ বলেন প্রসেনজিত নাকি পলিটিক্স করে বহু নায়কের কেরিয়ার নষ্ট করেছেন। তাদের মধ্যে একজনের নাম যিশু।
অবশেষে এতদিনে এই বিষয়ে মুখ খুললেন যিশু সেনগুপ্ত। যারা বলেন বুম্বাদা নাকি যিশুকে নিজের ভাই বানিয়ে রেখেছেন, হিরো হতে দেননি, তাদের জবাব দিলেন অভিনেতা নিজেই। এই বহু পুরনো অভিযোগ প্রসঙ্গে একবার একটি টক শোতে এসে যিশু বলেন যারা ‘অ্যান্টি বুম্বাদা’ তারা অনেকেই তাকে বলেছিলেন প্রসেনজিৎ নাকি তাকে ভাই বানিয়ে রেখেছেন।
যিশু বলেন প্রসেনজিৎ তার কাছে বড় দাদার মত। তিনি যিশুর জীবনের এমন একজন মানুষ যিনি ছবির কাজের বাইরেও সারাক্ষণ তার পাশে থেকেছেন। নিন্দুকদের জন্য যিশুর উত্তর, “বুম্বাদা আমার কপালে কোনদিনও বন্দুক ঠেকিয়ে বলেনি এই কাজটা তোকে করতে হবে। আজ অবধি কোনওদিন বুম্বাদা ষড়যন্ত্র করে আমার কেরিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা করেননি বরং আমাকে গাইড করেছেন সবসময়।”
এরপর তিনি একটি পুরনো স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন তার একসঙ্গে দু-দু দুটো ছবির ডেট ক্ল্যাশ হয়ে গিয়েছিল। একই দিনে হরনাথ চক্রবর্তীর ছবির শুটিংয়ের দিন পড়েছিল কলকাতায়, অন্যদিকে আবার পরদিন সকালে মহীশুরে অনুপ সেনগুপ্তের ছবির শুটিংয়ে পৌঁছতে হত তাকে। যিশু মহা সমস্যায় পড়েছিলেন। দুই ডিরেক্টরই তাকে অনেক বকাঝকা করেন। তখন তিনি ছুটে যান প্রসেনজিতের কাছে।
যিশুর কথায়, “আমি তো শেষ… কাঁদতে কাঁদতে সোজা বুম্বাদার পায়ে”। প্রসেনজিৎ সব শুনে নিজেই অনুপ সেনগুপ্তকে ফোন করেন। তিনি বলেন সকালে ফার্স্ট হাফে যিশু কলকাতায় শুটিং করবেন, আর সন্ধ্যার মধ্যে তিনি মহিশূরে পৌঁছে যাবেন পরশু সকালে শুটিং করতে। যিশু সেদিন ধরেই নিয়েছিলেন তার কেরিয়ার শেষ, ইন্ডাস্ট্রি থেকে এবার তাকে বেরিয়েই যেতে হবে। এভাবেই সে যাত্রা যিশুকে বাঁচিয়ে নিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ।