টলিউডের অন্যতম পাওয়ার কাপল যীশু সেনগুপ্ত এবং নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের সম্পর্কে নাকি ফাটল ধরেছে। যীশু এবং নীলাঞ্জনার বৈবাহিক সম্পর্ক এখন ভাঙ্গনের মুখে। অথচ একসঙ্গে সুখে-দুখে ২০ টা বছর কাটিয়ে এসেছেন তারা। তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে, সারা এবং জারা। যীশু-নীলাঞ্জনা টলিউডের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ারও জনপ্রিয় জুটি। তাদের প্রেম কাহিনী কোনও সিনেমা থেকে কম নয়।
২০০২ সালে দূর্গা পূজার সময় যীশু এবং নীলাঞ্জনার প্রথম দেখা হয়। স্বর্ণযুগের নায়িকা অঞ্জনা ভৌমিকের বড় মেয়ে নীলাঞ্জনাকে দেখামাত্রই তার প্রেমে পড়ে যান যীশু। নীলাঞ্জনা তখন ‘হিপ হিপ হুররে’ নামের একটি হিন্দি সিরিয়ালে অভিনয় করতেন মুখ্য চরিত্রে। বাংলা সিনেমা ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ এর জন্য তিনি শুটিং করতে এসেছিলেন কলকাতায়।
‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ সিনেমাতে নীলাঞ্জনার অভিনয় ও মিষ্টি হাসি দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন দর্শকরা। ওই সময় যীশুও ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাগল করছিলেন। ২০০২ সালে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে পুজোর বাড়ির সেরা পুজো নামের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে কলকাতার বিভিন্ন আবাসনের পুজোগুলোর মধ্যে সেরা পুজো বেছে নেওয়া হচ্ছিল।
২০০২ সালের দুর্গা পুজোতে অষ্টমীর দিন তারকা বিচারকদের তালিকাতে যীশু এবং নীলাঞ্জনা ছিলেন। বিচারের পর শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে তারা লাঞ্চ করেন। তখন থেকেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। হোটেলে লাঞ্চ করতে করতেই নাকি একে অপরের থেকে তাদের চোখ সরছিল না। হোটেল থেকে বেরিয়ে যীশু তার নিজের গাড়িতে নীলাঞ্জনাকে লিফট দেন।
যীশু এবং নীলাঞ্জনার মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে। একসঙ্গে বেশ কিছু প্রজেক্টে কাজ করেন তারা। শুটিং করতে করতে তাদের ভালোবাসা আরো গভীর হয়। এরপর একদিন রাত দশটার সময় নীলাঞ্জনাকে বাড়ি ছাড়তে গিয়ে তার মা অঞ্জনা ভৌমিকের কাছে মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন যীশু। সম্মতি দিতে আপত্তি করেননি অঞ্জনা। ২০০৪ সালে তাদের বিয়ে হয়ে যায়। তারপর থেকে প্রত্যেক বছর তারা দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন নিজেদের আবাসনে।
আরও পড়ুন : বউকে ডিভোর্স দিতে গিয়ে ভিখারির হাল! কত টাকা খোরপোষ দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া?
আরও পড়ুন : জিতের প্রেমী ছবির নায়িকা আজ কোথায়, এখন কী করছেন তিনি?
এক দুর্গাপূজোয় সম্পর্কের শুরু। এরপর একসঙ্গে এতগুলো দুর্গাপুজোর আয়োজন তারা করেছেন। কিন্তু এবারের দুর্গাপূজায় আর হয়তো তাদের এক সঙ্গে দেখা যাবে না। যীশু এবং নীলাঞ্জনার সম্পর্কের মাঝে নাকি ঢুকে পড়েছেন তৃতীয় এক মহিলা। মুম্বাইতে কাজের সূত্রে যীশুর সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে। তাদের ঘনিষ্ঠতার ব্যাপারে জানতে পেরে নীলাঞ্জনা যীশুর পদবী তার নামের পাশ থেকে মুছে ফেলেন। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে বাকি জীবনটা কাটাতে চান তিনি যীশুকে ছাড়াই।