ডিভোর্সী নাকি সেপারেটেড? স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন রচনা ব্যানার্জী

রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee), বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One)। বর্তমান সময়ে তিনি কোটি কোটি মেয়ের কাছে অনুপ্রেরণা। যেভাবে তিনি একাধারে নিজের কাজ, সন্তান এবং সংসার সামলাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জীবনে কখনও নিজের দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে আসেননি তিনি। তিনি একাধারে টলিউড (Tollywood) নায়িকা, টিভি সঞ্চালিকা, সফল ব্যবসায়ী এবং সেই সঙ্গে যোগ্য মেয়ে ও আদর্শ মা।

তবে রচনা ব্যানার্জীর বিবাহিত জীবন কেমন? স্বামীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক তার? কোথাও কোথাও শোনা যায় তিনি নাকি ডিভোর্সী। তবে স্বামী প্রবাল বসু (Prabal Basu) ও একমাত্র ছেলে প্রণীল বসু (Pronil Basu) -র সঙ্গে তাকে মাঝেমধ্যে বেশ একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যায়। এক নয়, জীবনে একাধিকবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি।

Rachana Banerjee

স্বামীর সঙ্গে বনিবনা নেই, তবুও একমাত্র ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীকে ডিভোর্সও দেননি রচনা। জীবনে সবক্ষেত্রে সফল হতে পারলেও স্ত্রী হিসেবে সফলতা অর্জন করতে পারেননি রচনা। তিনি একবার একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “আমি বিবাহিত, তবে হ্যাপিলি ম্যারেড বলতে যা বোঝায় আমি সেটা নই।”

তিনি এরপর স্বামীকে ডিভোর্স না দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমার ছেলে এখন বড় হচ্ছে। কিন্তু আমার স্বামী এবং আমি কখনো চাইনি ওকে শুনতে হোক ওর বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। আমরা দুজন একসঙ্গে না থাকলেও খুব ভালো বন্ধু।” রচনা বলেছেন একসঙ্গে না থাকলেও তাদের তিনজনের একে অপরের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

Rachana Banerjee

রচনা এবং প্রবাল দুজনে মিলে তাদের সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছেন। ছেলের প্রতি অনেক যত্ন নেন প্রবাল। বিশেষ করে প্রণীলের পরীক্ষার সময় প্রবাল এসে তাকে পড়ান। তারা একসঙ্গে ঘুরতেও যান। বিশেষ করে পুজোর সময় তাদের তিনজনকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যায়। দারুণ আনন্দের মধ্য দিয়ে সময় কাটান তারা তিনজন।

আরও পড়ুন : যোগ্যতা থাকলেও হাতে নেই কাজ! কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘ভানুমতির খেল’ সিরিয়ালের ভানুমতি

Rachana Banerjee Son

আরও পড়ুন : মিমির ‘অ্যাটিটিউড’ হজম করে কাজ না করলেই মুশকিল! আবিরের মন্তব্যে তোলপাড় টলিউড

রচনা এবং প্রবাল দুজনেই তাদের এই অন্যরকমের জীবনে বেশ খুশি। একে অপরের খুব ভালো বন্ধু তারা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে ছাপিয়ে গিয়েছে সেই সম্পর্ক। নতুন করে কোনও সংসার গড়ে তুলতে চাননি তারা। রচনার কথায়, “আমার জীবনে কোনও পুরুষের দরকার নেই। আমার জীবনে আমার বন্ধুরা রয়েছে। তারা আমার সঙ্গে আছে, পাশে আছে।”