হোটেলের বন্ধ ঘরে প্রযোজকের লালসার শিকার। বলিউড প্রযোজকের নোংরা চরিত্র ফাঁস করে দেন টলিউড অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Haldar)। কী হয়েছিল তার সঙ্গে? শুনলে শিউরে উঠবেন। বলিউডে গিয়ে এই বাঙালির নায়িকার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বলতে গেলে এখনও শিউরে ওঠেন ইন্দ্রাণী
৯০ এর দশকে অভিনয় দুনিয়াতে পা রেখেছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত টানা ৩৪ টা বছর একভাবে অভিনয় দুনিয়াতে দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন তিনি। সিনেমা থেকে সিরিয়াল, ইন্দ্রাণী সবেতেই হিট। কিন্তু বলিউডে গিয়ে তার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাতে তিনি আর কোনওদিনই মুম্বাইয়ের পথ মাড়াননি। ছবির প্রযোজক যে ব্যবহার করেছিলেন ইন্দ্রাণীর সঙ্গে, সে কথা বলতে গেলে আজও তার হাত-পা কাঁপে।
তখন ইন্দ্রাণীর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। সোজাসুজি বলিউড থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। শুটিং এর জন্য সেই সময় তার সঙ্গে মা এবং বাবাও যেতেন। শুটিংয়ে প্রথম শিডিউলে গিয়েছিলেন তার মা। তাদের দুজনকে বেশ ভালো হোটেলে রাখা হয়। দ্বিতীয় শিডিউলে যাওয়ার কথা ছিল বাবার। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্দ্রাণীর জন্য ফ্লাইটের টিকিট কাটা হয় সকালে আর তার বাবার জন্য টিকিটটা কাটা হয়েছিল বিকেলে। এরপর যে হোটেলে ইন্দ্রাণীকে থাকতে দেওয়া হয় সেটা দেখেও সন্দেহ দানা বাঁধে তার মনে।
ইন্দ্রাণী তার সাক্ষাৎকারে বলেন সেদিন মুম্বাইতে যখন তিনি পৌঁছান তখন তার কোনও কাজ ছিল না। প্রযোজক হঠাৎ দুপুরে তাকে ফোন করে বলেন তিনি তার সঙ্গে তখনই দেখা করবেন। ইন্দ্রাণী বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেন দুপুরে প্রযোজক তার সঙ্গে কথা বলতে আসছেন। এরপর যখন ওই প্রযোজক ইন্দ্রাণীর ঘরে ঢোকেন তখন তিনি তার সঙ্গে অসভ্যতামি শুরু করেন। তার হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন। এমনকি নিজের জামাকাপড় খোলারও চেষ্টা করেন।
ওই মুহূর্তে ইন্দ্রাণী প্রচন্ড ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। একসময় তার মনে হচ্ছিল আর কোনও আশা নেই। ওইদিন মুম্বাইয়ের ওই বন্ধ হোটেলের মধ্যে ওই প্রযোজকের কাছেই তাকে ধর্ষিতা হতে হবে। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। অনবরত হাত পা ছুঁড়ে বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ইন্দ্রাণী। কিন্তু ঐদিন ভগবান তার সহায় ছিলেন। হঠাৎ করেই প্রযোজকের স্ত্রীর ফোন আসে। ওই ফোনের জন্যই বেঁচে যান ইন্দ্রাণী।
আরও পড়ুন : যৌনকর্মী থেকে অভিনেত্রী, নটি বিনোদিনীর করুণ জীবন কাহিনী
আরও পড়ুন : নিজের গলায় গান রেকর্ড করেছিলেন সুচিত্রা সেন! শুনুন সেই কালজয়ী গান
তবে চলে যাওয়ার পথেও ইন্দ্রাণীকে শাসিয়ে যান ওই প্রযোজক। তিনি তাকে বলেছিলেন ইন্দ্রাণীর জীবনে কখনোই উন্নতি হবে না। বড় বড় নায়িকারা আপস করতে ২ মিনিট ভাবেন না। কিন্তু ইন্দ্রাণীর তার কথায় আপস করতে রাজি ছিলেন না। তবে এরপরেও মুম্বাইতে মাথা উঁচু করে কাজ করেছেন ইন্দ্রাণী। মুম্বাইয়ের ধারাবাহিকে ইন্দ্রণীর অভিনয় দেখেছেন গোটা দেশের দর্শকরা। কিন্তু তার জন্য আপস করতে হয়নি তাকে। নিজের আদর্শ এবং আত্মসম্মান বিসর্জন না দিয়েই গত ৩ দশক ধরে গ্ল্যামার দুনিয়াতে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু সেদিনের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার স্মৃতি তিনি আজও ভোলেননি।