বাঙালি বলে জুটতো অপমান, দূরছাই করতো বলিউড! মিঠুন চক্রবর্তীর জীবন সিনেমা থেকে কম নয়

হয়েছেন চূড়ান্ত অপমানিত, ঘটেছে চরম অন্যায়! বাঙালি বলে বলিউডে যোগ্য সম্মান পাননি মিঠুন চক্রবর্তী

রোগা, কালো একটি ছেলে যখন বাংলা থেকে মুম্বাইতে গিয়েছিল নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে। তবে সব খারাপের মধ্যে যেমন ভালো থাকে তেমন সেই অভিনেতাও পেয়েছিলেন কিছু কিছু মানুষের সাহায্য। বাংলার মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) দিকে বাড়িয়ে দেওয়া তেমনি একটি হাত ছিল অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan)।

মিঠুন চক্রবর্তী, যে সময় তিনি বলিউডে নিজের জায়গা শক্ত করতে চেয়েছিলেন সেই সময় বলিউডে রাজত্ব করছিলেন অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে রাজেশ খান্নার মত বড় বড় তারকারা। কিন্তু মিঠুন হেরে যাওয়ার পাত্র ছিলেন না, দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছিলেন তিনি, আর প্রতিফলন আমরা আজ দেখতে পাই তার সাফল্যের মধ্যে। মিঠুনের অতীতের কথা বলতে গিয়ে মিঠুন পুত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন এক অভিনেতার অন্য অভিনেতাকে সাহায্যের কথা।

Mithun Chakraborty

১৯৭৬ সালে ‘ মৃগয়া ‘ সিনেমার হাত ধরে অভিনয় জগতে পা দিয়েছিলেন মিঠুন, আর প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করেই ছিনিয়ে নিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। ১৯৭৯ সালে তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর বলিউড সফর, ‘তারানা’ নামক একটি সিনেমার হাত ধরে। সিনেমায় অভিনেত্রী রঞ্জিতা কৌরের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন মিঠুন। সেই সময় অভিনেত্রীকে একটি ভ্যানিটি ভ্যান এবং গাড়ি দেওয়া হলেও মিঠুনকে কোন গাড়ি বা ভ্যানিটি ভ্যান দেওয়া হয়নি।

মিঠুন পুত্রের কথায়, “প্রথমদিকে প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো রকম সুযোগ-সুবিধা পেতেন না বাবা। একজন নবাগত অভিনেতাদের মতই বাবাকে দেখতেন প্রযোজনা সংস্থার সকলে। ‘তারানা’ সিনেমার শুটিং চলছিল শিমলায়। সেই সময় অমিতাভ বচ্চনও ছিলেন হিমাচল প্রদেশেই। সেখানে মিস্টার নটরওয়ারলাল সিনেমার শুটিং চলছিল। দুটি সিনেমার শুটিং চলছিল খুব কাছাকাছি।”

AMITABH AND MITHUN

আরও পড়ুন : মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী আসলে কে? রইল মহাগুরুর সুন্দরী স্ত্রীর আসল পরিচয়

নমশি জানান,” একদিন অমিতাভ বচ্চন দেখেন, বাবা টেম্পো করে যাচ্ছেন। ঘটনাটি নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে টেম্পো থেকে নামিয়ে নিজের গাড়িতে তুলে নেন তিনি। বাবাকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “মৃগয়া সিনেমাটি যে অভিনেতাকে দেখেছি সেই মিঠুন আপনি না?” প্রশ্নের উত্তরে বাবা জানিয়েছিলেন,” হ্যাঁ বচ্চন সাব।” কথাটি শোনার পরেই বাবাকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন,” গাড়িতে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা তার উত্তরে বাবা বলেছিলেন, তার কাছে কোন গাড়ি নেই।”

আরও পড়ুন : রুপ ও সৌন্দর্যে মিঠুনের কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে টেক্কা দেবে স্বর্গের অপ্সরাকেও

AMITABH AND MITHUN

আরও পড়ুন : বিয়ের পরেও পরকীয়া! মিঠুনকে লাথ মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়েছিলেন স্ত্রী

প্রসঙ্গত, সেদিনের পর থেকে মিঠুনকে প্রায়শই অমিতাভ বচ্চন গাড়ি করে নিয়ে যেতেন নিজের শুটিংয়ের জায়গায় এবং একসঙ্গে গল্প করতেন। মিঠুনের সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় যা আজ ৪৫ বছর পরেও একই ভাবে অটুট রয়েছে। তাদের মধ্যে কখনো কোন বিবাদ তৈরি হয়নি। আজও মাঝে মাঝেই মিঠুন এবং অমিতাভ একসঙ্গে সময় কাটান এবং আড্ডা দেন।

আরও পড়ুন : একা মিঠুন নন, এই ৪ তারকার সঙ্গেও হোটেলে রাত কাটাতেন শ্রীদেবী! ধরা পড়েন হাতেনাতে