মে মাসের শুরুতেই প্রচন্ড গরমে রীতিমত কাবু গোটা বাংলা। এখনই বিভিন্ন জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দিনে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে তাপপ্রবাহ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। ট্যাপের জলে হাত পর্যন্ত দেওয়া যাবে না। ট্যাঙ্কি কিংবা ট্যাপের জলে দিনের বেলা হাত দেওয়া মানেই পুড়বে হাত। তবে এই সময় কিছু ছোটখাটো টিপস মেনে চললে আপনি ট্যাঙ্কের জলের উষ্ণতা কমাতে পারবেন। জেনে নিন কীভাবে।
গরমে কীভাবে ট্যাঙ্কির জল ঠান্ডা রাখবেন?
দিনে যখনই তাপমাত্রার পারদ চড়ে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ট্যাঙ্কে থাকার জলের উষ্ণতা বাড়ে। দুপুর থেকে বিকেলের সময়ের মধ্যে ট্যাপের জল খোলা মানে ফুটন্ত জল গায়ে পড়বে। তবে ছোট্ট একটা টিপস মাথায় রাখলে ট্যাঙ্কির জল এতটা গরম হবে না। আসলে ট্যাঙ্কি কেনার সময় আমরা এমন কিছু ছোটখাটো ভুল করে ফেলি। যে কারণে গরমের সময় প্রচন্ড গরম হয়ে যায় জল।
কী করা উচিত?
যখন বাড়ির জন্য ট্যাঙ্কি কিনবেন তখন একটা ছোট্ট কথা মাথায় রাখলেই আপনাকে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না। মনে রাখবেন গাঢ় রঙ সব সময় বেশি তাপ শোষণ করে। তাই ট্যাঙ্কি কেনার সময় গাঢ় রংয়ের ট্যাঙ্কি এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে জল থাকলে সূর্যের আলোতে দ্রুত গরম হয়ে যায়। এর বদলে হালকা রঙের ট্যাঙ্ক কিনুন। কালো, লাল, নীল কিংবা এই ধরনের রঙের বদলে সাদা অথবা হালকা রং বেছে নিন। তা না হলে ট্যাঙ্কি কেনার পর সাদা রং করে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন : ব্ল্যাকআউট হলে কোন কোন গ্যাজেট অবশ্যই নিজের কাছে রাখবেন?
আরও পড়ুন : ছেঁড়া টিকিট নিয়ে কি ট্রেনে ওঠা যায়? টিকিট ছিঁড়ে গেলে কী করবেন?
এছাড়া আর যে যে উপায় নিতে পারেন
- এছাড়া দ্বিগুণ বা তিন স্তরের ট্যাঙ্কি কিনুন। এই ধরনের ট্যাঙ্কি দীর্ঘ সময় জল ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও গরমের সময় ট্যাঙ্কির উপর একটা পাটের ব্যাগ বা ভেজা বস্তা বিছিয়ে রাখুন।
- ট্যাঙ্কের চারপাশ থার্মোকল বা রূপালী তাপ নিরোধক শিট দিয়ে মুড়ে দিলে বাইরের তাপ ট্যাঙ্কের ভেতর প্রবেশ করবে না।
- ট্যাঙ্কির উপরে একটা টিনের ছায়া বা জল রোধী শেড রাখতে পারেন। এর ফলে সূর্যের তাপ সরাসরি ট্যাঙ্কে পড়বে না।
- ট্যাঙ্কিটিকে সরাসরি সূর্যের আলোয় না রেখে ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন।
- ট্যাঙ্কের চারপাশে ইটের প্রাচীর গেঁথে দিতে পারেন। এতে সরাসরি গরম বাতাস বা সূর্যের তাপ ট্যাঙ্কের গায়ে লাগবে না।