সেইফ আলি খানের উপর হামলার পর তিন তিনটে দিন পার হল। এখনও আতঙ্ক কাটছে না বলিউডের। নিজের বাড়িতেই যেভাবে বহিরাগত দুষ্কৃতির হাতে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হলেন সেইফ, তা ভেবে শিউরে উঠছেন সকলে। এই আক্রমণে গভীরভাবে আহত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ভর্তি রয়েছেন মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে। এখন কেমন আছে তার শারীরিক অবস্থা? কতদিনেই বা সুস্থ হতে পারবেন তিনি? সেই আপডেট নিয়েই এই প্রতিবেদন।
কতটা মারাত্মক সেইফের শারীরিক অবস্থা?
সেইফের উপর যে হামলা চালানো হয়েছিল সেটা যে কতটা মারাত্মক তার গুরুত্ব বোঝা গেল ডাক্তারদের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর। সেইফের মেরুদন্ড, ঘাড়, পেট, পিঠে ৬ বার গভীরভাবে আঘাত করেছিল ওই দুষ্কৃতী। এতে ছুরির ভাঙ্গা টুকরো গেঁথে থেকে যায় সেইফের শরীরে। সেই ছুরির ভাঙ্গা অংশ বের করার জন্য অস্ত্রপচার করানো হয় তাকে। আই সি ইউ তেও রাখা হয়েছিল সেইফকে। তার মেরুদন্ডে ছুরির আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে এসেছিল। এই তরল স্পাইনাল কর্ডের কর্ডগুলোকের রক্ষা করে। মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে বাইরের যেকোনো আঘাত থেকে রক্ষা করে এই তরল। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কে পুষ্টি সরবরাহ থেকে শুরু করে বর্জ্য পদার্থের অপসারণ করে। এই ফ্লুইডের উপরে থাকে একটি প্লাস্টিক লেয়ার যার নাম ডিউরোমিটার।
যখন কোনও আঘাতের কারণে ডিউরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন তাকে বলে ডিউরাল টিয়ার। এর ফলে সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড লিক করে। এইভাবে স্পাইনাল কর্ডের তরল বেরিয়ে আসা বিপদজনক হতে পারে। এতে মেরুদন্ড এবং মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। যাকে বলে মেনিনজাইটিস। এই রোগ ভীষণভাবে প্রাণঘাতী। এর ফলে মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, এমনকি প্যারালাইসিস পর্যন্ত হতে পারে। যদি এই লিক মাইনর হয় তাহলে ৮ থেকে ১০ দিনের ওষুধ খেলেই সুস্থ হওয়া যাবে। কিন্তু লিক বেশি হলে তখন টিয়ারসেলের প্রয়োজন পড়বে। এর জন্য যে চিকিৎসার প্রয়োজন তাকে বলা হয় ডিউরোপ্লাস্টি।
আরও পড়ুন : সইফের উপর হামলা চালালো কে? হামলাকারীকে চিনে নিন এক্ষুনি
আরও পড়ুন : ৫০০০ কোটির সম্পত্তির এক কানাকড়িও সন্তানদের দিতে পারবেন না সেইফ! কেন জানেন?
কতদিনে সুস্থ হবেন সেইফ আলি খান?
এক্ষেত্রে শুধু অপারেশন নয়, পেশেন্টকে পুরোপুরি বেড রেস্টে থাকতে হবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলতে হবে। আবারও যাতে আঘাত না লাগে তাই অপারেশনের দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত অন্তত ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তবে সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে বেশিরভাগ রোগীই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন বলে জানাচ্ছেন সেইফের চিকিৎসক। অপারেশনের পর সেইফকেও টানা একমাস পুরোপুরি বেড রেস্টে থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে তিনি হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন তা এখনও জানাননি ডাক্তাররা।