মা হওয়াটা প্রত্যেক নারীর কাছেই একটা বড় স্বপ্নের মত। সমাজের মতে মাতৃত্ব নারীকে সম্পূর্ণ করে তোলে। যদিও মা হওয়ার সুখ সকালের ভাগ্যে থাকে না। দেশের অন্যতম সুন্দরী, সুশিক্ষিতা, সফল ব্যবসায়ী নীতা আম্বানি (Nita Ambani) -ও তাদেরই একজন। মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) -কে বিয়ের পর মা হতে তার কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছিল।
১৯৮৫ সালে মুকেশ এবং নীতার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় তারা জানতে পারেন তারা কোনদিনও বাবা-মা হতেই পারবেন না। সত্যিটা জেনে সেদিন যেন তাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল। মানসিকভাবে দুজনেই ভেঙ্গে পড়েন প্রচন্ড। তা সত্ত্বেও তাদের সংসারে আজ তিন সন্তান রয়েছেন, আকাশ আম্বানি (Akash Ambani), অনন্ত আম্বানি (Anant Ambani) এবং ইশা আম্বানি (Isha Ambani)।
জানেন কীভাবে এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছিল? তাদের ওই দুর্দিনের বন্ধুর মত পাশে ছিল প্রযুক্তি। IVF পদ্ধতিতে তারা সন্তানের জন্ম দিতে পেরেছিলেন। একটা নয়, দুটো নয় তিন-তিনটে সন্তানের মুখ দেখেন তারা। এই প্রযুক্তি তাই তাদের কাছে একটা আশীর্বাদের মত। এর কারণেই বিয়ের ৭ বছর পর নীতা যমজ সন্তানের জন্ম দেন।
কড়া ওষুধের মধ্যে থেকে এবং দীর্ঘ ট্রিটমেন্ট নেওয়ার পর নীতা ২ যমজ সন্তানের জন্ম দেন প্রথমে। তারা হলেন আকাশ এবং ইশা। নিতা বাচ্চাদের বরাবর খুব ভালবাসতেন। বিয়ের আগে তিনি একটি বাচ্চাদের স্কুলে পড়াতেন। নিজের সন্তান না হওয়ার যন্ত্রণা তিনি মেটাতে সক্ষম হয়েছিলেন এই ভাবেই।
মুকেশ আম্বানিকে বিয়ের পর নিতা তার স্কুলের চাকরিটি ছেড়ে দেন। এরপর তিনি আলাদাভাবে আম্বানি পরিবারের ব্যবসা সামলাতে শুরু করেন। ধীরুভাই আম্বানির নামের স্কুলের পরিচালনার দায়িত্ব তার কাঁধেই ছিল। কিন্তু সন্তানদের ঠিকভাবে মানুষ করার জন্য নিতা তার সেই কাজটাও ছেড়ে দেন। সন্তানদের জন্মের ৫ বছর পর্যন্ত তিনি আর কাজে যোগ দেননি।
আরও পড়ুন : নীতা আম্বানীর গাউনের দামে গোটা বিশ্ব ঘোরা যাবে, এর দাম আপনার কল্পনারও বাইরে
ইশা এবং আকাশের জন্মের কিছুদিন বাদে তাদের ছোট ভাই অনন্ত আম্বানির জন্ম হয়। পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়িতে থেকেই তাদের দেখভাল করেন নিতা। তারপর তিনি আবার ব্যবসার কাজে মন দেন। নিতা মুকেশের সন্তানরা সকলেই আজ ব্যবসার দুনিয়াতে ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন। তারাই মুকেশের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
আরও পড়ুন : বেতন মাসে ২ লাখ, বিদেশে পড়ে সন্তানরা, মুকেশ আম্বানির কর্মচারীরা আর কী কী সুবিধা পান?