হাতে আর মাত্র ৩ মাস! মেয়ের জন্য কাতর আর্তি অস্মিকার বাবা-মায়ের

দ্রুত ফুরিয়ে আসছে সময়। রানাঘাটের ছোট্ট মেয়ে অস্মিকা দাসের হাতে আর মাত্র তিন মাস সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে যদি চিকিৎসা শুরু করে না যায় তাহলে স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রফির হাত থেকে আর বাঁচানো যাবে না তাকে। চিরতরে পঙ্গু হয়ে পড়বে ছোট্ট মেয়েটি। তাই মেয়েকে বাঁচাতে আরো একবার সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হলেন অস্মিকার বাবা-মা শুভঙ্কর দাস এবং লক্ষ্মী দাস। এতদিনে ঠিক কত টাকা উঠলো?

রানাঘাটের স্বামী বিবেকানন্দ স্মরণীর দাস পাড়ায় একরত্তি মেয়েকে নিয়ে সংসার শুভঙ্কর এবং লক্ষ্মীর। ২০২৪ সালে লক্ষ্মী ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। শুরুতে অবশ্য মেয়ের কঠিন রোগের কথা জানতে পারেননি তারা। কিন্তু মেয়ের ৪ মাস বয়স হতেই কিছু সমস্যা তাদের চোখে পড়ে। ডাক্তারের কাছে গেলে জানতে পারেন তাদের মেয়ে বিরল রোগে আক্রান্ত। এই রোগে তাদের মেয়ে ধীরে ধীরে পঙ্গু হয়ে যাবে। চলাফেরা, উঠে বসার ক্ষমতা তার থাকবে না। চিরতরে হুইলচেয়ার হবে তার সঙ্গী। এই রোগের চিকিৎসা একটাই। ১৬ কোটি টাকা দামের একটি ইনজেকশন, যেটা কেবল বিদেশেই পাওয়া যায়।

 Asmika Das

অস্মিকার ফান্ডে কত টাকা জোগাড় হয়েছে?

ইনজেকশনের ওই খরচ যোগানোর শুভঙ্কর এবং লক্ষ্মীর পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে তারা শুরু করেন ক্রাউড ফান্ডিং। সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হন তারা। বহু মানুষ তাদের সামর্থ্য মত সাহায্য করেছেন। এগিয়ে এসেছেন রুপম ইসলাম, কৈলাস খেরের মত তারকারা। ইউটিউবার, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররাও অস্মিকার কথা মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিয়েছেন। যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন। তবে এত কিছু সত্বেও এখনও অর্ধেকটা টাকাও জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। অস্মিকার জন্য মোটে ৭ কোটি ৯৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা জমা পড়েছে। বাকি টাকাটা কোথা থেকে আসবে ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না অসহায় বাবা-মা।

আরও পড়ুন : লাজ-লজ্জা ভুলে প্রকাশ্যেই অন্তরঙ্গ অনন্যা-সুকান্ত! ছিঃ ছিঃ করছেন নেট নাগরিকরা

Asmika Das

আরও পড়ুন : বাংলাদেশী নায়িকারা কে কত টাকা নেন? কার পারিশ্রমিক সবথেকে বেশি?

সম্প্রতি অস্মিকাকে নিয়ে লাইভে আসেন তার বাবা ও মা। সেই ভিডিওতে তারা সকলকে সাহায্য করার জন্য আবেদন করেন। ক্যাপশনে লেখেন, “হাতে মাত্র আর তিন মাস। দয়া করে সবাই এগিয়ে আসুন আপনার সাহায্যই অস্মিকার জীবন বাঁচাতে পারে।” ভিডিওতে তারা দাবি করেছেন অস্মিকাকে নিয়ে অনেক মিথ্যে রটনা রটেছে। আর একবার অন্তত সকলে যাতে এগিয়ে আসেন সেই আবেদন করেছেন তারা।