এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় এখন জড়িয়েছে টলিউডের নাম। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নিয়েছেন টলিউড (Tollywood) তারকরা, আর সেই মর্মে ইডি (ED) এখন মরিয়া হয়ে দুর্নীতির সঙ্গে টলিউডের যোগ খুঁজতে ব্যস্ত। একে একে টলিউডের একাদির তারকার নাম উঠে আসছে যারা কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীলদের থেকে টাকা নিয়েছেন। এবার আরও বড় তথ্য দিলেন টলিউড অভিনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক হিরণ চ্যাটার্জি (Hiran Chatterjee)।
একদিকে যখন কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা সরকার, বনি সেনগুপ্ত, পিয়া সেনগুপ্ত, এনা সাহা, সৌরভ দাসদের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে অন্যদিকে অয়ন শীলের সঙ্গে শ্বেতা চক্রবর্তীসহ আরও তারকাদের নাম জড়িয়েছে। এমতাবস্থায় দেব (Dev), সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) এবং বনি সেনগুপ্তকে (Bony Sengupta) নিয়ে রীতিমত বিস্ফোরণ ঘটালেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক।
উল্লেখ্য, হিরণ এর আগেও ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক দেবের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতিতে জড়ানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। বনি সেনগুপ্তের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি সরাসরি দাবী করেন দেব নাকি এনামুল হকের থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। তার কথায় বনি হলেন ছোট বাচ্চা ছেলে, তৃণমূলে যারা রয়েছেন সেই তারকা নেতা-নেত্রীরাও কোনও অংশে কম যান না।
ঠিক কী বলেছেন হিরণ? এই তারকা বিধায়কের কথায়, “গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড নিয়ে আগেও আমি ঘাটালে বলেছিলাম। আপনাদের এখনকার সাংসদ দীপক অধিকারী তিনিও দুর্নীতিতে ভীষণভাবে যুক্ত। তিনি ৫ কোটি টাকা এনামুল হকের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। তখন দেবের ফ্যানরা আমার উপর রাগ করেছিলেন।” শুধু তাই নয়, এরপর তিনি সায়নী ঘোষকে নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন।
হিরণের কথায়, “বনি সেনগুপ্তের মত ছোট্ট একটা বাচ্চা ছেলেও সবেমাত্র অভিনয় এসেছে, সেও কীভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলে যারা যারা আছেন, সায়নী ঘোষ, তার সম্পর্কেও তো বিচারপতি বলেছেন। তিনি কীভাবে একটার পর একটা ফ্ল্যাট বানিয়েছেন। কার টাকায় বানিয়েছেন। শ্রীকান্ত মেহতা, যিনি সবথেকে বড় প্রডিউসার, তিনি কত বড় দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন।
কোটি কোটি টাকা লুট করেছেন, চুরি করেছেন, জেলও খেটেছেন দুবছরের উপর। টলিউডের ৯৯% প্রডিউসার, ডিরেক্টর, অভিনেতারা কোনও না কোনওভাবে পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষভাবে চোরেদের সরকারের সঙ্গে যুক্ত।”, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন হিরণ। তিনি বলেন গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই এবং ইডির জেরার মুখে পড়তে হয়েছে দেবকে। হিরণ আরও বলেন যদি দেব সেই কেসে দোষী সাব্যস্ত হন, তার জেল হয়, তাহলে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়েও তার দুশ্চিন্তা থাকবে।