দুই স্ত্রীর মাঝে প্রবলভাবে ফেঁসে গিয়েছে অনুজ। এক দিকে গুড্ডি (Guddi), অন্যদিকে শিরিন। দুজনেরই অনুজকে নিয়ে টানাপোড়েনের শেষ নেই যেন। এদিকে অনুজেরও গুড্ডি আর শিরিনের মাঝে পড়ে বেসামাল অবস্থা। সে না গুড্ডিকে ছাড়তে পারছে, আর না শিরিনের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করতে পারছে। এদিকে আবার গুড্ডির বিয়ে ঠিক হচ্ছে অন্য জায়গায়। সেটাও মেনে নিতে পারছে না অনুজ।
শিরিনকে বিয়ে করার পরও গুড্ডিকে ভুলতে পারে না অনুজ। ঘরের বউকে ঘরে ফেলে রেখে দুজনে একসঙ্গে রাত কাটায়, ঘনিষ্ঠও হয়। দর্শকরা তো এসব দেখে দারুণ বিরক্ত। আর যিনি এই চরিত্রটিকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলছেন তার মনোভাব কী? এই চরিত্র কি তাকে সন্তুষ্ট করতে পারছে? এই বিষয়টিকে নিয়ে মুখ খুললেন অনুজ চরিত্রের অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু (Ranojoy Bishnu)।
অনুজের চরিত্রের এমন বেসামাল অবস্থা দেখে দর্শকরা তার নিন্দা করতে ছাড়ছেন না। আসলে স্টার জলসার গুড্ডি সিরিয়ালের শুরুটাই হয়েছিল পরকীয়া দিয়ে। অনুজের চরিত্রটা নিয়ে প্রথম থেকেই তেমন খুশি ছিলেন না দর্শকরা। সে একবার গুড্ডিকে বিয়ে করছে, পরক্ষণেই আবার শিরিনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে। তারপর আবার শিরিনকে বিয়ে করতে বসে গুড্ডির জন্য তার মন খারাপ হয়!
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভে এসেছিলেন রণজয়। অনুজের চরিত্রটিকে নিয়ে দর্শকরা যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন তাতে শেষমেশ মুখ খুলতেই হল তাকে। এর আগে শিরিন চরিত্রের অভিনেত্রী মধুরিমা বসাক আনন্দবাজারকে জানিয়েছিলেন গুড্ডি সিরিয়ালটিতে আসলে অনুজই ভিলেন। নিজের চরিত্র নিয়ে নিজেই ভীষণ বিরক্ত রণজয়। ঠিক কী বললেন তিনিও?
রণজয় বলেছেন, “খুবই বিরক্তিকর। অনুজ নামের লোকটাকে আমার কাছে পাঠানো উচিত। প্রেম ভিতরে ভরপুর কিন্তু কাজ ছাড়া তো কিছুই বোঝে না। মনে মনে গুমড়ে মরছে। আরে আগে নিজেকে ভাল রাখ, তারপর তো বাকিদের ভাল রাখবি। আমার থেকে পাঠ নেওয়া দরকার জীবন কীভাবে যাপন করা উচিত।” রণজয়ের এই ভিডিওর নিচে কমেন্ট বক্সে একের পর এক মন্তব্য করে চলেছেন ভক্তরা।
দর্শকদের মধ্যে থেকে কেউ মন্তব্য করলেন, “রণজয়দা, অনুজকে বোঝাও যেন শিরিনকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।” অনুজের চরিত্রটার উপর খুশি নন নায়ক নিজেও। তবে গল্পে খুব শীঘ্রই একটা নতুন মোড় আসছে। কারণ যুধাজিতের সঙ্গে গুড্ডির বিয়ের কথাবার্তা চলছে। এদিকে আবার যুধাজিত আর অনুজ দুই ভাই! সেই রহস্যটা এখনও ফাঁস হওয়া বাকি। তাই আগামী দিনে গল্প একটা দারুণ টান টান মোড় নিতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।