দাদু ছিলেন তার সময়কালে টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রির মহানায়ক। দীর্ঘ ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও তার জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যাওয়ার কারও পদার্পণ ঘটেনি টলিউডে। আগামী ১০০ বছরেও উত্তম কুমারকে (Uttam Kumar) টেক্কা দেওয়ার মত কেউ টলিউডে জন্মাবেন কিনা সন্দেহ। সেই উত্তম কুমারের নাতিরই কিনা একসময় অর্থাভাবে বেজায় বেগতিক অবস্থা হয়েছিল। সকলের সামনে রীতিমত অপ্রস্তুতিতে পড়ে যেতে হয়েছিল তাকে।
উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চ্যাটার্জী (Gourab Chatterjee) এই মুহূর্তে স্টার জলসার গাঁটছড়া (Gantchhora) সিরিয়ালে ঋদ্ধিমান সিংহ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। এর আগে করুণাময়ী রানী রাসমণি সিরিয়ালে মথুরা মোহনের ভূমিকায় দীর্ঘদিন অভিনয় করেছিলেন তিনি। তার আগে টলিউডেও বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন গৌরব। গৌরব চ্যাটার্জী কিন্তু বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেতা।
এই মুহূর্তে বাংলা সিরিয়ালের জগতে গৌরব চ্যাটার্জী একজন নামকরা অভিনেতা। তবে একটা সময় ছিল যখন অর্থের অভাবে ভাল-মন্দ কিছু খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও সামর্থ্যে কুলাতো না তার। ছোটবেলার সেই দিনগুলোর সম্পর্কে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুলেছিলেন তিনি। গৌরব বলেন অভিজাত পরিবারের সন্তান হলেও ছোটবেলায় শখ করে নিজের খেয়াল খুশিমত টাকা ওড়ানোর অনুমতি তার এবং তার ভাইবোনদের ছিল না।
একবার তো রেস্তোরাঁতে খেতে গিয়ে সবার সামনে রীতিমত লজ্জায় পড়ে যেতে হয়েছিল গৌরবকে। পুজোর সময় ভাই-বোনদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পর বিল দেখে তার মাথায় হাত পড়ে। গৌরবের কথায়, তখন আমাদের সকলের কাছেই খুব কম থাকা থাকত। যেটুকু বাড়ি থেকে হাত খরচ পেতাম আর কী। সে সময় সদ্য ৫ টাকার কয়েন বেরিয়েছিল। আমি জমাতাম। ব্যস এইটুকুই।”
এরপর গৌরব বলেন, “একসঙ্গে ভাই-বোনেরা মিলে খেতে গিয়েছিলাম। খাবার শেষে বিল দেখে সবার মাথায় হাত। কারণ কারও কাছেই টাকা ছিল না। সবাই দাবি করেছিল আমি যদি আমার জমানো পাঁচ টাকাগুলো দিয়ে দিই। কিন্তু সেই টাকা দিতে আমি মোটেই রাজি ছিলাম না।” ওইদিন খুব কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে রেস্তোরাঁর বিল মেটাতে হয়েছিল। ছোটবেলার সেই মজার ঘটনার কথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন গৌরব।
আসলে উত্তম কুমার দাদু হলেও বা কি, অভিজত পরিবারের সন্তান হলেও ছোট থেকেই আর ৫ জন সাধারণ ছেলেমেয়ের মতই মানুষ হয়েছেন গৌরব এবং তার ভাই-বোনেরা। যথেচ্ছভাবে টাকা ওড়ানোর অনুমতি তাদের ছিল না। ছোট থেকেই তাই টাকার মর্ম শিখে নিয়েছিলেন তারা।