খোঁজ রাখে না ছেলে মেয়ে, বুড়ো বয়সে কষ্টে কাটছে দিন! বাসন্তী দেবীর অবস্থা শুনলে চোখে জল আসবে

কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘গীতা এলএলবি’র (Geeta LLB) ননীবালা দেবী ওরফে বাসন্তী চট্টোপাধ্যায় (Basanti Chatterjee)? কেন তাকে এখন দেখা যাচ্ছে না সিরিয়ালে? বুড়ো বয়সে খুবই কষ্টে কাটছে তার দিন। একে প্রবল শারীরিক যন্ত্রণা, তার উপর অর্থাভাব। একসময় দাপুটে অভিনেত্রী বাসন্তী দেবীর অবস্থা এখন দেখলে চোখে আসবে জল। সম্প্রতি তার জন্য সাহায্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন তারই সহ অভিনেতা ভাস্বর চ্যাটার্জী।

বর্ষিয়ান এই অভিনেত্রী বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিকভাবে খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। কিছুদিন আগেই সুস্থ হয়ে সেটে ফিরেছিলেন তিনি। তারপর আবার পড়ে গিয়ে পাঁজরের হাড় ভেঙেছে তার। ব্যথাই খুবই কষ্ট পাচ্ছেন বাসন্তী দেবী। পরিচারিকা ছাড়া এই সময় কেউ দেখাশোনার নেই তার। ছেলে ও মেয়ে থাকলেও তারা নাকি খোঁজ নেন না মায়ের। ৮৫ বছর বয়সেও অভিনয় করে নিজের খরচ নিজেকেই চালাতে হয় বাসন্তী দেবীকে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সেই পথও বন্ধ।

Basanti Chatterjee

এমনিতেই বাসন্তী দেবীর ওষুধের খরচ অনেক বেশি। প্রত্যেক মাসে ২০ হাজার টাকার ওষুধ লাগে তার। সেই সঙ্গে ৪,৫০০ টাকার ইনজেকশন লাগে। সিরিয়ালে তার অনস্ক্রিন ছেলে ভাস্বর চ্যাটার্জী এই মুহূর্তে ছেলের মতই পাশে রয়েছেন তার। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রযোজক স্নেহাশীষ চক্রবর্তীও। কিন্তু তা সত্বেও এত খরচ সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সাহায্য চেয়েছেন ভাস্বর।

আরও পড়ুন : ১৬ কোটির ইনজেকশনে বাঁচবে প্রাণ! শিশুকে বাঁচাতে কনসার্টের টাকা উজাড় করে দিলেন রূপম ইসলাম

Basanti Chatterjee

আরও পড়ুন : নচিকেতাকে ‘চটিচাটা’ বলে কেন? কেন বাঙালি এখন তাকে সহ্য করতে পারে না?

বাসন্তী দেবী একসময় উত্তম কুমার, ছবি বিশ্বাস, সুচিত্রা সেনদের মত তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। এখন তাকে বিভিন্ন সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখা যায় স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর ব্লুজ প্রোডাকশনের আওতায়। ব্যক্তিগত জীবনে বরাবরই কষ্ট পেয়েছেন বাসন্তী দেবী। তার বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। সন্তানরাও খোঁজ রাখেন না। এখন এই বুড়ো বয়সেও তার পাশে নেই আপনজনেরা। টাকা রোজগারের জন্য রোজ দমদম থেকে দক্ষিণ কলকাতায় শুটিংয়ে যেতে হত তাকে। কিন্তু কষ্ট করে হলেও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শুটিং করে যেতে চান বাসন্তী দেবী। সেই পথেও বাঁধ সেঁধেছে তার শরীর। এখন তিনি পুরোপুরি বিছানাগত। হাঁটাচলার ক্ষমতাটুকুও নেই।