মহাচমক গাঁটছড়ায়! অবশেষে মুখোমুখি ইশা-ঋদ্ধি, ফিরবে খড়ির স্মৃতি, রইল ধামাকাদার প্রোমো

স্টার জলসার (Star Jalsha) গাঁট ছড়া (Gantchchora) সিরিয়ালটি ক্রমশ টিআরপি তালিকাতে খারাপ ফলাফল করেই চলেছে। নতুন নতুন চমক এনেও সিরিয়ালের টিআরপি তোলা যাচ্ছে না। অবশেষে ঋদ্ধি এবং খড়ির বিচ্ছেদ দেখিয়ে টিআরপি তোলার সিদ্ধান্ত নেয় নির্মাতারা। সেইমত খড়ি-ঋদ্ধির বিচ্ছেদ হয়ে যায় জঙ্গলের মধ্যে। তারপর কেটে গিয়েছে পুরো একটি বছর।

সিংহ রায় পরিবারের সকলে ধরেই নিয়েছে খড়ি আর বেঁচে নেই। তবে ঋদ্ধিমান স্ত্রীর মৃত্যুর কথা মানতে নারাজ। সে আজও খড়ির সমস্ত জিনিস যত্ন করে আগলে রেখেছে যাতে খড়ি ফিরলেই তাকে সবকিছু ফেরত দিতে পারে। বাড়ির কেউ বিশ্বাস না করলেও ঋদ্ধিমান বিশ্বাস করে খড়ি বেঁচে আছে। অবশেষে তার বিশ্বাসেরই জয় হল। এক বছর বাদে শেষমেষ সে তার খড়ির দেখা পেল।

গল্পে এরই মধ্যে খড়ির মত দেখতে ইশা নামের একটি চরিত্রের এন্ট্রি হয়েছে। দর্শকদের একাংশের অনুমান এই ইশাই হল আসল খড়ি। তবে সে গল্পে এন্ট্রি নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিংহ রায় পরিবারের ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কাজেই তার চরিত্রটিকে নিয়ে একটু খটকা রয়েছে দর্শকের মনে। কারণ ইশা খড়ি হলে সে কখনও ঋদ্ধিমান কিংবা সিংহ রায়দের ক্ষতি করতে চাইত না।

এরই মধ্যে ধারাবাহিকের একটি নতুন চমকপ্রদ ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে চ্যানেলের তরফ থেকে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি অনুষ্ঠানে ইশার মুখোমুখি হয়েছে ঋদ্ধিমান। হুবহু খড়ির মত দেখতে ইশাকে দেখেই চমকে যায় ঋদ্ধিমান। সে সঙ্গে সঙ্গে তাকে খড়ি বলে ডাকতে থাকে। এদিকে ইশা ঋদ্ধিমানকে দেখে জানিয়ে দেয় সে খড়ি নয়।

তবে ইশাই যে আসল খড়ি তা দর্শকরা টের পেয়ে গিয়েছেন ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক্রম এপিসোডে। আদি কালিবাজারে কেনাকাটা করতে এসে নিজের দশকর্মার ভান্ডারের রাস্তায় গাড়ি ঢুকতেই জায়গাটা কেমন যেন চেনা চেনা মনে হতে থাকে ইশার। এর থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে খড়ি আসলে সত্যি সত্যিই তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।

এদিকে চোখের সামনে খড়িকে দেখেও ঋদ্ধিমান তাকে ফিরে পায় না। কারণ ইশা তাকে চিনতে অস্বীকার করে দেয়। ঋদ্ধিমান প্রায় কাঁদো কাঁদো গলায় খড়িকে বোঝানোর চেষ্টা করে সে গত এক বছর ধরে তাকে পাগলের মত খুঁজেছে। তার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। তবে ইশা সাফ জানিয়ে দেয় সে খড়ি নয়। এমনকি তার হাত ধরে টানাটানি করার জন্য ঋদ্ধিমানের উপর রেগেও যায় ইশা। ঋদ্ধিমানের এই দশা দেখে দর্শকদেরও মন খারাপ হয়েছে। খড়ির স্মৃতি দ্রুত ফিরে আসুক, এমনটাই চাইছেন সকলে।