ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan), তিনি গোটা বিশ্বের কাছে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন বহুবার। সর্বপ্রথম বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব অর্জন করে তিনি ভারতের মুখ দেশের কাছে উজ্জ্বল করেন। এরপর বলিউডে প্রবেশ করে একের পর এক ছবিতে ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। কয়েক বছর পরে তিনি বিয়ে করেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) এবং জয়া ভাদুড়ির একমাত্র পুত্র অভিষেক বচ্চনকে।
অভিষেক এবং ঐশ্বর্যর বিয়েটা ছিল বলিউডের বহুল চর্চিত বিবাহ। সালমান খান, বিবেক ওবেরয়দের সঙ্গে সম্পর্কের পর ঐশ্বর্য অভিষেকের সঙ্গে প্রেম করে তাকে বিয়ে করেন। অন্যদিকে ঐশ্বর্যর আগে অভিষেকের জীবনেও একাধিক নারীর আগমন হয়েছিল। তবে আজকের প্রতিবেদন ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে নিয়ে হওয়া একটি বিতর্ককে কেন্দ্র করে। যা কার্যত বচ্চন পরিবারের নাম ডুবিয়ে দিয়েছিল।
ঐশ্বর্য রাইকে নিয়ে কয়েক বছর আগে একটি বেশ গুরুতর খবর রটে গিয়েছিল। তার পাকিস্তান সফরকে ঘিরে ছড়িয়েছিল এই বিতর্ক। এক রাতের জন্য নাকি পাকিস্তান থেকে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তাও আবার পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ জারদারি তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ব্যক্তিগত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য।
পাকিস্তানি রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ ফেরাতে পারেননি ঐশ্বর্য। তবে তার জন্য বেশ মোটা টাকা নিয়েছিলেন তিনি। শোনা যায়, ওই একটি রাতের জন্য নাকি ১০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। ২০০৮ সালে ঘটেছিল এই ঘটনাটি। ২০০৭ সালে অভিষেক এবং ঐশ্বর্যর বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। যখন এই ঘটনা ঘটেছিল ততদিনে ঐশ্বর্য বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হয়ে গিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নাকি সেই সময় ঐশ্বর্যর খুব বড় ভক্ত ছিলেন। তাই তিনি ব্যক্তিগতভাবে ঐশ্বর্যকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তার বাড়ির অনুষ্ঠানে। কিন্তু ঐশ্বর্যর আমন্ত্রণ রক্ষা ঘিরে বিতর্ক ছড়াতে শুরু করে যখন শোনা যায় তিনি পাকিস্তানী রাষ্ট্রপতির থেকে ওই রাতের জন্য এত কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন!
যদিও এই বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কখনও মুখ খোলেননি ঐশ্বর্য। কিন্তু ১৪ বছর আগের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও জল্পনা ছড়াচ্ছে। তবে ঐশ্বর্যর ভক্তরা অবশ্য এসব জল্পনা উড়িয়ে দাবি করেন সারা বিশ্বে তার ফ্যানবেস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতিও তার ভক্ত হতেই পারেন।