‘টিআরপি টপার হয়েও আলোচনায় নেই’! ‘জগদ্ধাত্রী’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’কে খোঁচা ‘এক্কাদোক্কা’র রাধিকার

দিন প্রতিদিন বাংলা সিরিয়ালগুলোর (Bengali Mega Serial) মধ্যে রেষারেষি যেন বেড়েই চলেছে। বিশেষত টিআরপি নিয়ে এখন তুঙ্গে রয়েছে চর্চা। প্রত্যেক সপ্তাহে প্রত্যেকটি সিরিয়ালের ভাগ্য নির্ধারণ করে এই টিআরপি। কোন সিরিয়াল কতজন মানুষ দেখছেন, কার কেমন জনপ্রিয়তা, সবকিছুরই বিচার করা হয় টিআরপি দিয়ে। বর্তমানে জগদ্ধাত্রী, অনুরাগের ছোঁয়া রয়েছে বাংলার সেরা সিরিয়ালগুলোর তালিকায়।

অন্যদিকে বেশ কিছু সিরিয়াল কিন্তু এই তালিকায় পিছিয়ে পড়ছে ক্রমশ। যেমন স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘এক্কাদোক্কা’র (Ekka Dokka) কথাই ধরা যাক। লীনা গাঙ্গুলীর এই সিরিয়ালের স্টার কাস্টে রয়েছে দুর্দান্ত চমক। কাজেই অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীদের অভিনয় নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠে না। তবুও টিআরপিতে নজর কাড়তে পারছি না এই সিরিয়াল। যদিও টিআরপি নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নন ‘রাধিকা’ ওরফে সোনামণি সাহা (Sonamoni Saha)।

রাধিকা-পোখরাজের জুটিটা বর্তমানে দর্শকদের থেকে দারুণ প্রশংসা পাচ্ছে। আবার এই সিরিয়ালে শ্বশুরবাড়িতে নব বিবাহিতা নায়িকা উঠতে বসতে যেভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে সেই নিয়েও সমালোচনা কিছু কম হয় না। টিআরপি না থাকুক, সোনামণি সাহা এভাবে আলোচনায় থাকতে পেরেই খুশি। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি এই বয়ান দিয়েছেন।

এক্কাদোক্কার টিআরপির প্রসঙ্গে প্রথমবারের মত সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন সোনামণি। তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার এই নিয়ে আফসোস দুঃখ কিছুই হয় না। কারন আমার মনে হয় টিআরপিতে একে থাকার থেকেও আলোচনায় থাকা জরুরী। নাম না করেই বলছি। এমন অনেক সিরিয়াল আছে যাদের টিআরপি বেশি থাকার সুবাদে তারা এক নম্বরে। কিন্তু আলোচনায় নেই।”

সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমাদের নিয়ে লেখা হয়, কথা হয় আর কিছু চাই না।” উল্লেখ্য সোনামণি এবং প্রতীক সেনের মোহর কিন্তু একসময় বেঙ্গল টপার হত। এই সিরিয়ালের টিআরপি ছিল তুঙ্গে। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে সোনামণি বলেন, “মোহর কিন্তু প্রথম বছরে ভাল ফল করেনি। ধীরে ধীরে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছিল। এক্কা দোক্কার ক্ষেত্রেও আশা করছি হয়তো তেমনটাই হবে।”

ডাক্তারি পড়ুয়া রাধিকা শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে উঠতে বসতে খোঁটা শুনছে। এমনকি শাশুড়ির হাতে মারও খাচ্ছে। এসব দেখে স্যোশাল মিডিয়াতে প্রতিবাদ করেন দর্শকরা। বহু সময় এমন নারী নির্যাতনমূলক সিরিয়াল বন্ধের দাবিও উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। দর্শকরা চান রাধিকার চরিত্রের মধ্যে প্রতিবাদী মনোভাব জেগে উঠুক। শ্বশুরবাড়িতে যারা তার ক্ষতি করতে চায় তাদের উপযুক্ত জবাব দিক রাধিকা, এমনটাই চান দর্শকরা।