এই মুহূর্তে স্টার জলসাতে (Star Jalsha) লীনা গাঙ্গুলীর (Leena Ganguly) বেশ কিছু সিরিয়াল চলছে। এর মধ্যে রয়েছে গুড্ডি, এক্কাদোক্কা (Ekka Dokka)। এই দুই সিরিয়ালের টিআরপি (TRP) তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। তবে একটা সময় ছিল যখন লীনা গাঙ্গুলীর সিরিয়াল মানেই ছিল হিট। কিন্তু দর্শকরা অভিযোগ তোলেন বর্তমানে লীনা গাঙ্গুলীর সিরিয়ালগুলোতে কুটকাচালি, পরকীয়া, নায়ক-নায়িকার বারবার বিয়ের একঘেয়েমি ট্র্যাক চলে আসে, যা তাদের বিরক্তির বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়।
যেমন এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকের টিআরপির কথাই ধরা যাক। তাবড় তাবড় তারকাদের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও সিরিয়ালটি তেমন টিআরপি পাচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন রাধিকা ওরফে সোনামণি সাহা (Sonamoni Saha)। কেন টিআরপি পাচ্ছে না তার সিরিয়াল? এই প্রসঙ্গে সোনামণি কিন্তু ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোকেই দায়ী করেছেন।
বর্তমানে স্টার জলসার সিরিয়ালগুলোর নতুন এপিসোড টিভিতে সম্প্রচার হওয়ার আগেই ডিজনি প্লাস হটস্টারে সম্প্রচারিত হয়ে যায়। এখানে সামান্য কিছু সাবস্ক্রিপশন চার্জ দিয়ে কিংবা কখনও কখনও বিনা সাবস্ক্রিপশনেও সিরিয়ালের নতুন এপিসোড দেখা যায়। উল্টোদিকে জি বাংলার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা আলাদা।
জি ফাইভের সাবস্ক্রিপশন চার্জ অনেক বেশি। তাই অত টাকা দিয়ে ওটিটিতে সিরিয়ালের নতুন এপিসোড না দেখে বেশিরভাগ দর্শক টিভিতেই সিরিয়ালটি দেখেন। কিন্তু স্টার জলসার ক্ষেত্রে তেমনটা হচ্ছে না। দর্শকরা যেহেতু ওটিটিতে স্টার জলসার সিরিয়াল দেখছেন তাই টিভিতে টিআরপি কমে যাচ্ছে। এটা একপ্রকার জয় বলে মনে হলেও আসলে কিন্তু বেশ চিন্তার বিষয় বলে মনে করেন সোনামণি।
স্টার জলসা হোক বা জি বাংলা, বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের উপার্জন কিন্তু টিআরপি থেকেই হয়। দিনের পর দিন যদি এমনটাই চলতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন সোনামণি। সোনামণির মতে এক্কাদোক্কার দর্শক কমে গিয়েছে এমনটা নয়। তবে তারা টিভিতে নতুন এপিসোডের জন্য অপেক্ষা না করে বরং ওটিটি থেকে দেখে নিচ্ছেন বলেই টিআরপি উঠছে না।
সোনামণি মনে করেন এক্কাদোক্কা সিরিয়ালের সপ্তর্ষি মৌলিকের সঙ্গে তার অনস্ক্রিন রসায়নের আলাদা একটা ফ্লেভার রয়েছে। দর্শকরা তা উপভোগ করেন। সেই সঙ্গে সোনামণির বাবার চরিত্রে চন্দন সেনের সঙ্গেও তার যে বাবা-মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে সেটারও একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে তার কাছে। চন্দন সেন যখন বাবা হিসেবে অভিনয় করেন তখন সোনামণি মুগ্ধ হয়ে তাকে দেখেন। কখনও কখনও সংলাপ না বলেই দৃষ্টির মাধ্যমে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেন চন্দন সেন, অভিনয় করতে গিয়ে বিষয়টা তাকে মুগ্ধ করে।