১লা জুন থেকে বন্ধ দুয়ারে রেশন! মাথায় হাত কোটি কোটি মানুষের

এবার বন্ধ হতে চলেছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। গ্রাহকদের সুযোগ-সুবিধা করে দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের কোষাগার খালি হওয়ার জোগাড়। সেই কারণেই নাকি আগামী মাস থেকে এই প্রকল্পে ইতি টানতে চলেছে সরকার। ২০২১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গেও দুয়ারে রেশন প্রকল্প চলছে। এতে রেশন দোকানের পাশাপাশি মানুষের বাড়িতে বাড়িতে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু এবার এই প্রকল্প অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার তুলে দেবে।

১লা জুন থেকে বন্ধ দুয়ারে রেশন

পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অন্ধপ্রদেশেও দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ওই রাজ্যের মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে দিব্যাঙ্গ এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকরা ছাড়া ঐ রাজ্যের আর কোনও গ্রাহকের জন্য দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু থাকবে না। খাদ্য ও গণ বন্টন মন্ত্রককে ইতিমধ্যেই সরকারি তরফ থেকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্তের কথা। তাই ওই রাজ্যে ১ লা জুন থেকে আর দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু থাকবে না।

Duare Ration

কেন বন্ধ হচ্ছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প?

উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লি সরকারও এই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার সেই তালিকায় অন্ধ্রপ্রদেশের নামটাও জুড়ে গেল। আসলে বাড়তি খরচের জন্যই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্যশস্য লিকেজ, সময়মতো হিসেব না মেলানোর সমস্যার পাশাপাশি রেশনের জন্য দেওয়া গাড়িগুলিকে মাসের অর্ধেক সময় বসিয়ে রাখা এবং অত্যধিক সংরক্ষণের খরচ দেখানো হয়েছে কারণের তালিকায়। এখন বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দিতে বছরে ১ হাজার ৮০১ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। হিসেবের অঙ্কেও বড়সড়ো গরমিল রয়েছে। সেই কারণেই তাই এই প্রকল্প বন্ধ হচ্ছে মাঝপথে।

আরও পড়ুন : মিলবে ৩০,০০০ টাকা, রাষ্ট্রীয় পারিবারিক লাভ যোজনায় আবেদন করুন এইভাবে

Duare Ration

আরও পড়ুন : বাতিল হবে লাখ লাখ রেশন কার্ড! এই কাজ না করলে আর মিলবে না রেশন

পশ্চিমবঙ্গের কী হবে?

অন্ধ্রপ্রদেশে বন্ধ হলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনই দুয়ারে রেশন প্রকল্প বন্ধ হচ্ছে না। ২০২১ সাল থেকে এই রাজ্যে প্রকল্পটি চালু রয়েছে। এরজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার বছরে ৪০৮ কোটি টাকা খরচ বরাদ্দ করেছে। খাদ্য সুরক্ষা আইনে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৮৫ মেট্রিক টন চাল গম বিতরণ করা হয়। যদিও এর মধ্যে রাজ্যের খাদ্য সাথী যোজনা অন্তর্ভুক্ত নয়। সেটার জন্য খরচ আলাদা। এখন রেশন ডিলাররা চাল গম বিতরণ করার জন্য কুইন্টাল প্রতি ৯০ টাকা কমিশন পান। সেটা আগামী দিনে ২০০ টাকা করার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে।