বলিউডের তারকা মানেই মুম্বাইয়ের কোনও বিলাসবহুল বাড়িতে থাকা। দামী দামী গাড়িতে চড়া আর দামী জিনিসপত্র ব্যবহার করা। এটাই ধারণা আমাদের। কিন্তু এমন বহু জনপ্রিয় বলিউড তারকা রয়েছেন যারা এই সব কিছু থেকে অনেক দূরে থাকতে পছন্দ করেন। এমন একজন তারকা রয়েছেন আমাদের বাংলায়। তাকে চেনেন না এমন মানুষ ভারতে খুব কম রয়েছে।
বাঙালি এই তারকা হলেন গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। মুম্বাইতে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি সব রয়েছে। তাও নিজের গ্ৰাম জিয়াগঞ্জেই থাকতে পছন্দ করেন তিনি। নিজের পরিবার অর্থাৎ বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ছেড়ে তিনি থাকতে চান না মুম্বাইতে। আর তাছাড়াও শহরের দমবন্ধ করা পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে না তিনি। তাই বার বার ফিরে আসেন বাংলার এই ছোট্ট গ্ৰামে।
কিন্তু গ্ৰামের এই ছেলেটার চাহিদা কিন্তু দেশের সব গায়কের থেকে বেশি। এমনকি পারিশ্রমিকও বেশি। প্রতিটি গান গাওয়ার জন্য তিনি ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেন। এছাড়াও বছরে অনেকগুলি লাইভ শো করেন তিনি। সেই শোয়ের জন্যেও ১ কোটি টাকার বেশি পারিশ্রমিক নেন তিনি। এখন তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫৫ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।
তাই প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, কোটি কোটি টাকা কামানোর পর কীভাবে সেই টাকা খরচ করেন অরিজিৎ? আসলে সমাজ কল্যাণের জন্য এই টাকা খরচ করেন তিনি। ছোটবেলায় জিয়াগঞ্জেই রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরে পড়তেন তিনি। সেই স্কুলের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অরিজিৎ। তাই তাকে স্কুলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ দিন অযত্নে পরেছিল এই স্কুলের খেলার মাঠটি। সেই মাঠটি ঠিক করিয়েছেন অরিজিৎ সিং। সম্প্রতি পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এই মাঠ। এছাড়াও অরিজিৎ-এর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। অরিজিৎ-এর পরিকল্পনা রয়েছে জিয়াগঞ্জে একটি উন্নত হাসপাতাল খোলার।
সম্প্রতি একটি বিনামূল্যে ইংরেজি শিক্ষার কোচিং খুলেছেন। এছাড়াও গানের স্কুল ও শিশুদের হার্টের চিকিৎসায় অনেক টাকা ব্যয় করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, মুর্শিদাবাদে অতিমারি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সময় অর্থ সাহায্য করেছিলেন তিনি। নিজের উপার্জন করা কোটি কোটি টাকা নিজের স্বার্থে ব্যয় না করে সমাজের উন্নতির জন্য ব্যবহার করতে পছন্দ করেন তিনি।