বলিউডে (Bollywood) এখন দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) হলেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী। এর থেকেই বোঝা যায় বলিউডে তার প্রতিপত্তি আর পাঁচ জন নায়িকার থেকে অনেক বেশি। সম্প্রতি তার পরিবার সম্পর্কে একটি অজানা তথ্য জেনে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। দীপিকার বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন (Prakash Padukone) এবং তার মা উজ্জ্বলা পাড়ুকোন বাস্তবে ভাই-বোন।
প্রকাশ পাড়ুকোনের আরেকটি পরিচয় হল তিনি একজন প্রখ্যাত ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইতে এসে বসবাস করছেন তারা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের স্ত্রী উজ্জ্বলাকে নিয়ে মুখ খোলেন প্রকাশ পাড়ুকোন। সেখানে তিনি বলেন উজ্জ্বলা আসলে হলেন তার সেকেন্ড কাজিন অর্থাৎ তুতো বোন।
প্রকাশ তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমার মনে আছে আমি একবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে হেরে যাই। বিশ্বের এক নম্বরে হওয়া সত্ত্বেও, দীর্ঘ ৯ বছর পর সেবার প্রথমবারের জন্য জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ হেরেছিলাম। আমি খুব হতাশ হয়ে পড়ি। তারপরে বুঝতে পারি যে খেলাধুলায় হার-জিত দুটোই আছে। জিতলে বেশি উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই আবার হারলে বেশি হতাশ হওয়ারও প্রয়োজন নেই।”
প্রকাশ এরপর বলেন তিনি এরপর তার ছোট বোন উজ্বলাকে বিয়ে করে কোপেনহেগেনে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি চাকরি পেয়ে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। তারপর সেখানে দীপিকার জন্ম হয়। এরপর ১৯৮৯ সালে তিনি অবসর নেন। এদিকে প্রকাশ পাড়ুকোনের বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কাটাছেঁড়া শুরু হয়।
নেটিজেনরা বিস্ময় প্রকাশ করে লেখেন দীপিকার বাবা-মা ভাই-বোন! কেউ লিখছেন শেষ পর্যন্ত কিনা বোনকে বিয়ে করেছিলেন প্রকাশ পাড়ুকোন? দক্ষিণী নেট নাগরিকরা অবশ্য ভুল ভাঙিয়ে দিয়ে লিখেছেন দক্ষিণ ভারতে এটা খুবই সাধারণ একটা ঘটনা। সেখানকার মানুষেরা একই জাতের লোকেদের বিয়ে করেন। জাতপাত নিয়ে কঠোর নিয়ম নিষেধাজ্ঞা থাকায় বর্ধিত পরিবারের মধ্যেই তাদের বিয়ে হয়।
কেউ নিজের পরিবারের উদাহরণ দিয়ে লিখছেন, “কর্নাটকে অন্তত আমি যে জায়গা থেকে এসেছি সেখানে এটা খুবই সাধারণ বিষয়। সৌভাগ্যবশত এটা আর চর্চা করা হয় না। আমার নিজের পরিবারে এর একাধিক উদাহরণ আছে। আমার বাবার দুই বোন তাদের বাবার ছোটবোনের ছেলেদের বিয়ে করেছেন। মায়ের দাদা সৎ বোনের বড় মেয়েকে বিয়ে করেছেন।”