চাকরি ছেড়ে অভিনয়, স্টুডিও থেকে পেয়েছিলেন ঘাড় ধাক্কা! ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে মুখ খুললেন দেবোত্তম

বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Mega Serial) অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন দেবোত্তম মজুমদার (Debottom Majumder)। হালফিলে ‘খড়কুটো’ সিরিয়ালের পর বর্তমানে স্টার জলসার (Star Jalsha) গুড্ডি সিরিয়ালের পার্শ্বচরিত্রেও দারুণ জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন তিনি। তবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে তার কেটে গিয়েছে ১৪টা বছর। বর্তমানে তিনি বাংলা টেলিভিশনের সফলতম অভিনেতা হলেও একটা সময় ছিল যখন তাকে অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।

১৪ বছর আগে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ভিত গড়ে তোলার জন্য অনেক সংগ্রামের পাশাপাশি কঠিন অপমানও তাকে হজম করতে হয়েছিল। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা। তিনি যে সময়ের কথা বলেছেন সেই সময় তিনি সবেমাত্র অভিনয় দুনিয়াতে পা রাখছেন। ওই সময় তিনি এন টি ওয়ান স্টুডিওতে কোনও এক অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।

তবে ওইদিন তাকে ওই অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় ওই অফিসের কোনও এক কর্মচারী তাকে ভেতরে ঢুকতে দেননি এবং তাকে চরম অপমান করেছিলেন। দেবোত্তমের ভাষায় ঐ
ওইদিন তাকে শুধু ঘাড় ধাক্কা দিতেই বাকি রেখেছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তির ব্যবহারে সেদিন কেঁদে ফেলেছিলেন অভিনেতা। তবে আজ তিনি তাকেই ধন্যবাদ দিতে চান।

দেবোত্তম মনে করেন ওই ব্যক্তির ওই দিনের অপমান তাকে পরবর্তী দিনে অনেক কিছু পেতে সহায়তা করেছেন। তিনি যদি ওরকম ব্যবহার না করতেন তাহলে আজ হয়ত সফল হতে পারতেন না অভিনেতা। তিনি মনে করেন পাওয়ার আগে জীবনে ধাক্কা খাওয়া, অপমানিত হওয়াও খুবই জরুরী।

ক্যামেরার সামনে অভিনয় করার আগে বহুদিন পর্যন্ত থিয়েটারে কাজ করেছিলেন তিনি। পাকাপাকিভাবে অভিনয়ে আসার আগে তিনি ছিলেন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ। সংসার চালাতে টানা তিন বছর মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের কাজ করতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু একটা সময় পর্দার মনে হয়েছিল তিনি চাকরি ছেড়ে দিতে চান।

এরপর পরিকল্পনা মাফিক চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোদস্তুর অভিনয়েই মন দিয়েছিলেন তিনি। ‘কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টি’ ধারাবাহিক দিয়ে শুরু হয়েছিল তার পথ চলা। লীনা গাঙ্গুলীর ’কেয়া পাতার নৌকো’ তাকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। বর্তমানে তিনি দুটি সিরিয়ালে অভিনয় করছেন, কালার্স বাংলার সোহাগ চাঁদ এবং স্টার জলসার গুড্ডি। অভিনয়ের বাইরে তিনি হলেন ফ্যামিলি ম্যান। কাজের বাইরে সময়টুকু মেয়ে এবং পরিবারকে দিতেই বেশি পছন্দ করেন।