ইন্ডাস্ট্রিতে কাউকে ভয় পান না সালমান খান (Salman Khan)। ইন্ডাস্ট্রির বাইরেও কাউকে ভয় পান কি? সালমান খানের ব্যক্তিগত জীবনে রয়েছে অনেক বিতর্ক। বলিউডের ভেতরে বাইরে তাকে নিয়ে সবাই তটস্থ। হিট এন্ড রান কেসে তার বিরুদ্ধে ফুটপাতবাসীদের হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। তারও আগে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের কেসও ঝুলছিল তার কাঁধে। কিন্তু এতকিছুর পরেও তার একটা চুলও কেউ বাঁকাতে পারেনি।
সালমান খান বরাবর স্পষ্টবাদী। যেকোনও বিষয়ে স্পষ্ট কথা বলতে তার কোনও কষ্ট নেই। তবে মাঝেমধ্যেই স্পষ্ট কথা বলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কটাক্ষের শিকারও হতে হয় তাকে। এই যেমন ২০১৪ সালে তার একটি কথায় আহত হয়েছিলেন ভক্তরা। ওই সময় সমাজবাদীর পার্টি হয়ে একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন তিনি। তার জন্য পেয়েছিলেন মোটা পারিশ্রমিক।
কিন্তু উত্তর প্রদেশের যে অঞ্চলে অনুষ্ঠানটি হয়েছিল তার থেকে কিছুটা দূরে সেদিন প্রবল ঠান্ডা কারণে বেশ কিছু শিশুর মৃত্যু হয়। তাই কিছু মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছিল সালমান কেন স্রেফ অর্থের বিনিময়ে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হাত মেলালেন? তার ‘নৈতিকতা’ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল সেই সময়। ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচিত হয়েছিলেন অভিনেতা।
তবে এই বিষয়ে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি যে জবাব দিয়েছিলেন তা আরও অবাক করে দেয়। তিনি সরাসরি বলে দেন, “আমার নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে কাউকে চিন্তা করতে হবে না। আমার দায়িত্ব সম্পর্কে আমি খুব ভালোভাবে অবগত।” সালমান রীতিমত ঝাঁঝালো উত্তর দিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেন।
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে জবাবে তিনি বলেন, “আমি একজন অভিনেতা। টাকার জন্য ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। এ বার সেই টাকা আমি পোড়াব, ছিঁড়ে ফেলব, নাচতে নাচতে উড়িয়ে দেব না দুঃস্থ দিয়ে সাহায্য করব, সেটা আমি বুঝব। টাকাটা আমার। আমি কর দিই। সেই টাকা নিয়ে আমি কী করব, সেটা আমার ব্যাপার।”
সালমানের এই উত্তর শুনেও অনেক সমালোচনা হয়েছিল তাকে নিয়ে। তবে সমালোচনাটা গা সওয়া করে নিয়েছিলেন তিনি। তাই বরাবরই থোড়াই কেয়ার অভিনেতা। অবশ্য তার একটি নিজের সংস্থা আছে যেখানে তার টাকায় সমাজসেবামূলক কাজ হয়। গত কয়েক বছর ধরে তিনি এই সংস্থার ভরণপোষণের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।