সম্প্রতি দক্ষিণী অভিনেত্রী রানিয়া রাও সোনা পাচার মামলায় ধরা পড়েছেন। ১২ কোটি টাকার সোনা পাচারের অভিযোগ রয়েছে এই দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী বিরুদ্ধে। প্রায় ১৫ কেজি সোনা সমেত হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এই অভিনেত্রী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার বলিউডের বহু অভিনেত্রী অনৈতিক ক্রিয়া-কলাপের সঙ্গে জড়িয়ে বলিউডের মুখ পুড়িয়েছেন। আজ আপনাদের জানাবো সেই অভিনেত্রীদের নাম এবং তাদের সেসব কীর্তি।
শ্বেতা বসু প্রসাদ : শাবানা আজমির মাকড়ি সিনেমার সেই ছোট্ট মেয়েটির কথা মনে আছে? যমজ বোনের ভূমিকাতে অভিনয় করেছিল সে। এই সিনেমার জন্য পেয়েছিল জাতীয় পুরস্কার। নাম ছিল তার শ্বেতা বসুপ্রসাদ। এরপর ইকবাল সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে একটি হোটেল থেকে দেহ ব্যবসার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য ক্লিন চিট পেয়েছিলেন তিনি।
সোনালী বেন্দ্রে : ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে সোনালী বেন্দ্রেকেও জেলে যেতে হয়েছিল। এই ঘটনা ঘটে ২০০১ সালে। পরে অবশ্য অভিনেত্রী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান।
অলকা কৌশল : টিভি সিরিয়ালের বেশ জনপ্রিয় মুখ অলকা কৌশল। তাকেও একবার চেক বাউন্স মামলাতে জেলে যেতে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তার দুই বছরের কারাদণ্ডও হয়। অলকার সঙ্গে তার মাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল।
রিয়া চক্রবর্তী : সুশান্ত সিং রাজপুত এবং রিয়া চক্রবর্তীর কথা সকলেই জানেন। সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়ার বিরুদ্ধে উঠেছিল বহু অভিযোগ। মাদক মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এনসিবি তাকে গ্রেফতার করে। ৬ সপ্তাহ জেলে থাকার পর রিয়া মুক্তি পান। তার ভাইকেও গ্রেফতার করা হয়।
মমতা কুলকার্নি : ৯০ এর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মমতা জড়িয়ে পড়েছিলেন ড্রাগ পাচারের সঙ্গে। ড্রাগ মাফিয়া ভিকি গোস্বামীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে কেনিয়া থেকে ভিকি এবং মমতাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন : হিন্দু-মুসলিমে বাছবিচার নেই, ভিন ধর্মে বিয়ে করেছেন এই ৮ বলিউড তারকা
আরও পড়ুন : মুসলিম হলেও পরিচিতি হিন্দু নামে, বলিউডের এই ৮ তারকার শরীরে বইছে মুসলিমের রক্ত
মধুবালা : বলিউডের অন্যতম সেরা সুন্দরী মধুবালাও একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন পুলিশের হাতে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন এক প্রযোজক। মধুবালার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি নাকি টাকা নিয়েও সিনেমা করেননি। প্রযোজকের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
মালা সিনহা : এই তালিকাতে মালা সিনহার নামটিও রয়েছে। একবার আয়কর দপ্তর মালা সিনহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। তারা এই টাকার উৎস সন্ধান করতে শুরু করলে মালা আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন তিনি দেহ ব্যবসা করে এই টাকা উপার্জন করেছেন। এই ঘটনা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছিল সেই সময়।