সৌরভ গাঙ্গুলীর (Sourav Ganguly) প্রেমে পাগল ছিলেন, বারবার নাম জড়িয়েছে বিবাহিত তারকাদের সঙ্গে। তবে তারপরেও অবিবাহিতই রয়ে গেলেন বলিউড অভিনেত্রী নাগমা (Nagma)। বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে প্রেম, বিশেষ করে সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে প্রেমের চর্চায় একসময় নাগমাকে ছিঃ ছিঃ করেছিল ইন্ডাস্ট্রি। জানেন এখন কোথায় কী করছেন এই অভিনেত্রী?
৯০ এর দশকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন নাগমা। একে একে রাজকুমার, বিনোদ খান্না, সালমান খান, অক্ষয় কুমারদের সঙ্গে কাজ করে ফেলেছেন এই অভিনেত্রী। হিন্দির পাশাপাশি দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পান। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, কন্নড়, ভোজপুরি, পাঞ্জাবি, মারাঠি এবং বাংলা ভাষাতেও চুটিয়ে কাজ করেছেন নাগমা। বলিউডের এই ডাকসাইটে সুন্দরীর প্রেমে হাবুডুবু খেতেন বিবাহিত তারকারা। একের পর এক বিতর্কে শেষমেষ অন্ধকারে ডুবে যায় নাগমার কেরিয়ার।
শোনা যায় সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে নাকি সম্পর্কে ছিলেন নাগমা। কিন্তু সৌরভ ছিলেন বিবাহিত। ডোনার উপস্থিতি সত্ত্বেও নাগমার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন সৌরভ। সেই সময় সৌরভের পারফরম্যান্স খারাপ হলে ভক্তরা বলতেন নাগমার কারণেই নাকি সৌরভ খেলায় মন দিতে পারছেন না। তবে শুধু সৌরভ নয়, আরও একাধিক বিবাহিত অভিনেতার প্রেমে পড়েছিলেন নাগমা। সৌরভের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর নাগমার জীবনে আসেন দক্ষিণী তারকা শরৎকুমার।
নাগমা এবং শরৎকুমার একাধিক সিনেমায় অভিনয় করতেন। কাজ করতে করতে বন্ধুত্ব এবং তারপর প্রেম শুরু হয় দুজনের। বহুদিন তারা এই সম্পর্ক লুকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু শরতের স্ত্রী সব জানতে পেরে যান এবং তিনি শরৎকুমারকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর দক্ষিণী দুনিয়াতে নাগমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করে যে তিনি অন্য তারকার ঘর ভেঙেছেন। এদিকে আবার শরৎ কুমার নাগমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত এত মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নাগমা।
এরপর দক্ষিণ ছেড়ে তিনি ভোজপুরি দুনিয়াতে যান। সেখানেও অভিনেতা রবি কিষাণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তিনি। রবিও বিবাহিত ছিলেন। রবির সঙ্গে সম্পর্কের কথা নাগমা কখনও স্বীকার করেননি। কিন্তু রবি কিষাণ নিজে বলেছিলেন, ‘‘নাগমা আমার জীবনের একটি সুন্দর অংশ। আমার স্ত্রী তা মেনেও নিয়েছে। আমি কখনও আমার স্ত্রীকে মিথ্যা বলি না। ও সব জানে। আমার স্ত্রী ভীষণ ভাল। ও বোঝে যে বিয়ের বাইরেও পুরুষ এবং মহিলার মধ্যে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। আমি এই জগতের প্রথম বা শেষ বিবাহিত পুরুষ নই, যার সঙ্গে কোনও মহিলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’’
রবি জানান তার স্ত্রী কখনও নাগমাকে সংসার ভাঙার কারণ হিসেবে দেখেননি। এমনকি নাগমাও মেনে নিয়েছিলেন রবি তার স্ত্রীকে ছেড়ে কোনওদিনই তার সঙ্গে সংসার করবেন না। নাগমা মাঝেমধ্যেই রবির বাড়িতে আসতেন। রবির স্ত্রীর সঙ্গে মিলেমিশে রান্না করতেন। রবি স্ত্রীও নাগমার সঙ্গে কাজ করার জন্য তাকে উৎসাহ দিতেন। রবির সঙ্গেও অবশ্য নাগমার সম্পর্ক খুব বেশিদিন থাকেনি। ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রি আবার রবি কিষাণের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মনোজ তিওয়ারি। মনোজের সঙ্গেও নাগমার সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষো চলতে থাকে।
আরও পড়ুন : বলিউডের ষড়যন্ত্রেই কি শেষ হয়ে গেল শ্রদ্ধা কাপুরের কেরিয়ার? কেন এত কম কাজ করেন শ্রদ্ধা?
আরও পড়ুন : কেন আজীবন বিয়ে না করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন মুকেশ খান্না?
বারবার বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে নাম জড়ানোর কারণে নাগমার নিজেও একসময় বিরক্ত হন। সংবাদমাধ্যমে তিনি একবার বলেছিলেন, ‘‘একসঙ্গে কাজ করছি মানে এই নয় যে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। আমাকে এ বার রেহাই দিন। রবি এবং মনোজ দু’জনেই বিবাহিত।’’ বারবার বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে নাম জড়ানোর কারণে নাগমা আজ পর্যন্ত সিঙ্গেলই রয়ে গেলেন। ২০০৪ সালে তিনি রাজনীতিতে পা রাখেন। কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান তিনি। এখন অভিনয় ছেড়ে পুরোদস্তুর রাজনীতি নিয়েই আছেন নাগমা।