৯০ এর দশকে বলিউডে (Bollywood) যে সুন্দরীরা রাজত্ব করতেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন মমতা কুলকার্নি (Mamata Kulkarni)। এই সুন্দরীকে তৎকালীন সময়ের বলিউডের সবথেকে গ্ল্যামারস অভিনেত্রী বলা হত। তিনি শাহরুখ খান, সালমান খান থেকে শুরু করে নানা পাটেকার, অক্ষয় কুমার, সানি দেওলদের মত তাই সব বড় বলিউড তারকার সঙ্গেই অভিনয় করেছেন। তবুও কেরিয়ারের শীর্ষে থাকতে থাকতেই অন্ধকার ঘনিয়ে আসে তার জীবনে।
‘বাজি’, ‘নসিব’, ‘করণ অর্জুন’, ‘সবসে বড় খিলাড়ি’ এবং ‘আশিক আওয়ারা’ সহ অনেক সুপারহিট বলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন মমতা। কিন্তু একটা সময় পর তিনি অভিনয় জগত থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। এমনকি বিনোদন জগতের গ্ল্যামারের আকর্ষণ ছেড়ে তিনি সন্ন্যাসী হয়ে দিন কাটাচ্ছেন আজকে। কেন জানেন? আসল কারণটা জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকটা বছর আগে।
১৯৯১ সালে তামিল ছবি ‘নানবারগাল’ দিয়ে মমতা তার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এক বছর পর ‘তিরঙ্গা’ ছবি দিয়ে তিনি বলিউডে প্রবেশ করেন। তারও এক বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আশিক আওয়ারা’ ছবিটি মমতাকে রাতারাতি সুপারস্টার বানিয়ে তোলে। এর পরের দশটি বছর বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে কাজ করে গিয়েছেন তিনি।
মমতার অভিনীত সর্বশেষ বলিউড ছবিটি ছিল ‘কভি তুম কাভি হাম’ যেটা ২০০২ সালে মুক্তি পায়। মমতা কুলকার্নির জীবনে জড়িয়ে আছে অনেক বিতর্ক। বলিউডে পা রাখার পরপরই ১৯৯৩ সালে একটি ম্যাগাজিনের হয়ে টপলেস ফটোশুট করে তাকে সমালোচনার শিকার হতে হয়। তবে এরপর আন্ডারওয়ার্ল্ডের ড্রাগ মাফিয়া ভিকি গোস্বামীকে বিয়ের পর ফের বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তাকে।
অবশ্য মমতা জানিয়েছিলেন ভিকিকে ভালবাসলেও তিনি তাকে বিয়ে করেননি। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম তখন দাবি করতে থাকে অভিনেত্রী নাকি আন্ডারওয়ার্ল্ডের এই ড্রাগ মাফিয়াকে বিয়ে করে দুবাইতে সংসার করছেন। এরপর বেশ কয়েক বছর মমতা কুলকার্নির আর তেমন কোনও সংবাদ পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তার জীবনের উপর ভিত্তি করে মুক্তি পায় একটি বই।
‘অটোবায়োগ্রাফি অফ এ যোগিনী’ শীর্ষক এই বই থেকে জানা যায় মমতা বলিউড থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে এখন একজন সন্ন্যাসিনী হয়ে জীবনযাপন করছেন। তিনি তার সম্পর্কে এই বইতে লিখেছেন কিছু মানুষ পৃথিবীর কাজ করার জন্য জন্ম নেন, আর কিছু মানুষের জন্ম হয় ঈশ্বরের জন্য। মমতা নিজের জীবন ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গ করে দিয়েছেন।