বিপ্লব চ্যাটার্জী (Biplab Chatterjee) বললেই টলিউডের (Tollywood) ডাকসাইটে ভিলেনের কথা মনে পড়ে যায় দর্শকদের। ৯০ এর দশকে একাধিক বাংলা ছবিতে ভিলেন হয়ে কার্যত হাড় হিম করে দিতেন তিনি। শুধু পর্দায় নয়, পর্দার বাইরেও নাকি তাকে যমের মত ভয় পেতেন সকলে। ছোট-বড় সকলের মনের মধ্যে তিনি নিজেকে নিয়ে একটা ভয় ঢুকিয়ে দিতেন।
ছোটরা ও মেয়েরা যাকে দূর থেকে দেখলেই পালিয়ে যেত, সেই মানুষটা কিন্তু বাস্তবে একদমই সেরকম নন। বাস্তবে তিনি ভীষণ স্পষ্টবাদী। ইন্ডাস্ট্রিতে পাঁচ দশক পেরিয়ে আসার পরেও তিনি কাউকে ভয় পান না। স্পষ্ট কথা স্পষ্ট করে বলতে অনেকেই ভয় পান। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ মনের মধ্যে জমা হয়ে রয়েছে সেটা প্রকাশ্যে আনতে দ্বিধা করেননি বিপ্লব চ্যাটার্জী।
বিপ্লব চ্যাটার্জী অসংখ্য বাংলা ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করে অন্যান্য চরিত্রদের উপর অত্যাচার করতেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি নিজেই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। বুধবার কলকাতায় আয়োজিত একটি প্রেস ক্লাবে নিজের আত্মজীবনী ‘আমি বিপ্লব’ প্রকাশ করার সময় তিনি সেসব অজানা কথা তুলে ধরলেন সকলের সামনে।
স্পষ্ট কথা বলার কারণে অনেকের বিরাগভাজন হতে হয়েছিল বিপ্লব চ্যাটার্জীকে। সত্যি কথা বলতে গিয়ে তাকে অনেক কিছুই হারাতে হয়েছে, এমনটাই বলেছেন তিনি। এমনকি হাত থেকে একের পর এক কাজও বেরিয়ে গিয়েছে। তবে তার জন্য অবশ্য তার মনে একটুও আফসোস নেই। তবে দীর্ঘ কেরিয়ারে ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি বন্ধু বানানোর বদলে বরং শত্রু বেশি বানিয়ে ফেলেছেন।
বিপ্লব চ্যাটার্জী বলেছেন, “আমার কাজ কেড়ে নেওয়ার লোক প্রচুর আছে, কাজ কেড়েও নিয়েছে। অনেকেই অন্যায় করেছেন, আমার নামে খারাপ কথা রটিয়েছেন, শত্রুতা করেছেন। কলকাঠি করে আমায় কাজ করতে দেননি। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার বন্ধুর সংখ্যা খুব কম, শত্রুর সংখ্যাই বেশি।”
৭৫ বছর বয়সী অভিনেতার আত্মজীবনী উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রি থেকে কিছু তারকা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, সন্দীপ রায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়রা। লেখক তথা সাংবাদিক সুমন গুপ্ত তার এই আত্মজীবনী লিখেছেন।