ভাইয়ের খোঁজখবর রাখতেন না রিনা! স্বামীর মৃত্যুর পর বিস্ফোরক অঞ্জন চৌধুরীর পুত্রবধূ

রিনা চৌধুরী (Reena Chowdhury) এবং চুমকি চৌধুরী (Chumki Chowdhury) কে টলিউডপ্রেমীরা সকলেই চেনেন। ৯০ এর দশকে টলিউডের একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন এই দুই বোন। অঞ্জন চৌধুরীর দুই কন্যা তৎকালীন সময়ে সুপারহিট নায়িকা ছিলেন। বাবার হাত ধরে অভিনয় জগতে প্রবেশ করলেও নিজে গুনেই ইন্ডাস্ট্রিতে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তারা। তাদের পাশাপাশি তাদের একমাত্র ভাই সন্দীপ চৌধুরীও (Sandip Chowdhury) টলিউডে ভাগ্য পরীক্ষা করতে এসেছিলেন।

রিনা এবং চুমকির ভাই সন্দীপ অবশ্য ক্যামেরার সামনে আসেননি কখনও। তিনি ক্যামেরার পেছনে থেকে সহকারি পরিচালক হিসেবে বেশ কিছু সিরিয়ালের পরিচালনা করেন। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন অঞ্জন চৌধুরীর একমাত্র পুত্র। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে তার মৃত্যু টলিউডের জন্য ছিল একটা বড় ধাক্কা। দাদার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে রিনা আক্ষেপ করে বলেছিলেন তার দাদা যত্ন না পেয়ে মারা গিয়েছেন।

অবশেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সন্দীপ চৌধুরীর স্ত্রী বিদিশা চৌধুরী। ১৩ই জানুয়ারি সন্দীপ চৌধুরীর শ্রাদ্ধ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্বামীকে হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি বিদিশা। তার মধ্যে রিনার এমন মন্তব্য কার্যত মেনে নিতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি এই বিষয়ে আনন্দবাজারের কাছে মুখ খুলেছিলেন বিদিশা।

বিদিশা আনন্দবাজারকে বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না কেন বুকাইদি (রিনার ডাকনাম) এমন কথা বলল। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র পাবলিসিটি স্টান্টের জন্য এমন কথা বলে দিল? ভাইয়ের কোনও খবর নেয়নি। শেষ ছ’মাস একটা ফোন পর্যন্ত করেনি বুকাইদি। চুমকিদি সর্বক্ষণ আমার সঙ্গে ছিল। সন্দীপ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরের দিন তার স্বামী একদিন হাসপাতালে দেখে গিয়েছিলেন। দিদি এবং স্বামীর থেকে খবর পাওয়ার পরও কীভাবে উনি বললেন অন্ধকারে রয়েছেন?”

বিদিশার মন্তব্যে প্রশ্ন ওঠে ভাই-বোনের সম্পর্কের মাঝে কোনও দূরত্ব তৈরি হয়েছিল কিনা। তবে সেই প্রসঙ্গে বিদিশা সরাসরি বলেছেন, “না, কখনও আমাদের মধ্যে ঝগড়া তর্ক কিছুই হয়নি। তবে হ্যাঁ, ‘অগ্নিশিখা’ সিরিয়ালের সময় সন্দীপের সঙ্গে লিখছিল রিনাদিও। কিন্তু চ্যানেল কোনও কারণে বাদ দিয়ে দেয় দিদিকে। সেই রাগ থেকেই কি এমন কথা বলল দিদি? আমি সত্যি বুঝতে পারছি না।”

Anjan Chowdhury`s Daughter Rina Chowdhury & Chumki Chowdhury Opens up About Tollywood & Nepotism

বিদিশা আরও বলেছেন,“আমার ভাবার মত ক্ষমতা নেই এখন। ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব আমার কাঁধেই। তাই আর অন্য কিছু ভাবতে পারছি না।” উল্লেখ্য, সন্দীপ এবং বিদিশার একমাত্র ছেলে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বেহালায় নিজের বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে একাই রয়েছেন বিদিশা।