সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন বীরভূমের দুবরাজপুরের সাধারণ এক বাদাম বিক্রেতা ফেরিওয়ালা ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। ‘কাঁচা বাদাম’ (Kacha Badam) গানের দৌলতে বাদাম কাকুর (Badam Kaku) নাম ডাক ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। তারপরে কী কী ঘটেছিল মোটামুটি প্রায় সকলেরই জানা। ‘কাঁচা বাদাম’ গানের সুবাদে বাদাম কাকু বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন। অর্থ, যশ প্রতিপত্তি, বাদ যায়নি কিছুই।
একটি মাত্র গান গেয়েই সুপারস্টার গায়কদের মত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর। শুধু টাকা নয়, বাড়ি, গাড়ি থেকে আইফোন, সবই পেয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই জনপ্রিয়তা এখন অনেকটাই কমে এসেছে। বহুদিন বাদাম কাকুর নতুন কোনও গান শোনা যায়নি। অবশেষে প্রকাশ্যে এল তার আসল কারণটা।
এক সময় খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন বাদাম কাকু। আজ সেই জায়গায় তার মস্ত বিলাসবহুল বাড়ি হয়েছে। কিন্তু বহু সাধের তৈরি সেই বাড়িটাতেই এখন আর থাকতে পারছেন না তিনি। সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে তাকে চলে আসতে হয়েছে। রাতারাতি কেন ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হলেন ‘কাঁচা বাদাম’ গায়ক? কারণটা জানলে চমকে যাবেন।
সম্প্রতি এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন বাদাম কাকু। তিনি বলেন একটু পরিচিতি বাড়ার পর থেকেই নাকি তার কাছে রোজ চাঁদা চাইতে আসতে থাকেন প্রচুর মানুষ। বিভিন্ন সময়ে ৫০০-১০০০ টাকা তার কাছ থেকে জোর জবরদস্তি নিয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। টাকা না দিলে তারা ভয় দেখাতেন।
চাঁদার এই জুলুমবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ভুবন বাদ্যকরকে তার নিজের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। এখন আর তিনি নিজের গ্রামে থাকতে পারছেন না। ভিটেমাটি ছেড়ে তারা এসে উঠেছেন দুবরাজপুরের একটি ভাড়া বাড়িতে। মাসে মাসে ২৭০০ টাকা ভাড়া গুনে সেখানেই তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে। এদিকে আবার রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাদাম কাকুর।
আগে গান গেয়ে টুকটাক উপার্জন করে দিন কাটতো তার। কিন্তু এখন তার সেই দিন গেছে। কপিরাইটের ঝামেলায় জড়িয়ে এখন আর গানের রেকর্ডিং করতে পারছেন না তিনি। বাদাম দিয়ে যে কটি গান গেয়েছিলেন সবকটির থেকেই তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন ছেলের অল্প রোজগারে তাদের সংসার চলে। খ্যাতির বিড়ম্বনায় মহা সমস্যায় পড়েছেন বাদাম কাকু।