বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Mega Serial) নায়িকা মানেই রূপে-গুণে তারা যেন লক্ষ্মীর প্রতিমা। ঘরের বউ, স্ত্রী, কাকিমা, বৌদি থেকে মা হিসেবে তারা আদর্শ নারী। বাংলা সিরিয়ালের নায়িকাদের মত ঘরের বউ পেতে চান সকলেই। ঘরের কাজ থেকে শুরু করে অফিস কিংবা ব্যবসার যে কোনও সমস্যা তুরি মেরে সমাধান করে দেন সিরিয়ালের লক্ষ্মীরা। এরকম আদর্শ বৌমা পাওয়া তো ভাগ্যেরই ব্যাপার। আজ আলাপ করে নিন বাংলা সিরিয়ালের সেই লক্ষ্মীমন্ত বৌমাদের সঙ্গে।
তিয়াসা রায় (Tiyasha Roy) : জি বাংলা ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের নায়িকা শ্যামা শ্যামাঙ্গী হলেও সে ছিল গুণের সমুদ্র। যেমন সুন্দর গানের গলা, তেমনই বুদ্ধিমতী, স্নেহশীলা এবং সেবা পরায়ণতা ছিল শ্যামার মধ্যে। সিরিয়ালের চরিত্রের নিরিখে শ্যামা ওরফে তিয়াশাকে মেকআপ করিয়ে শ্যামবর্ণা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। নতুবা তিয়াসা রূপেও একেবারে যেন একেবারে লক্ষ্মী প্রতিমা।
শোলাঙ্কি রায় (Solanki Roy) : গাঁটছড়া ধারাবাহিকের খড়িও সিংহরায় বাড়ির লক্ষ্মী। বাপের বাড়িতে থাকার সময়ও সে সারাদিন কষ্ট করে দশকর্মার দোকান চালিয়ে সংসার টেনেছে। ধনী শ্বশুরবাড়িতে আসার পরেও খড়ি তার গুন এবং বুদ্ধি দিয়ে একের পর এক সমস্যার সমাধান করছে। তার জন্যই বিপদের মুখ থেকে প্রতিবার রক্ষা পায় সিংহ রায় পরিবার। বাড়ির বউয়ের মধ্যে এমন গুণই তো চান সকলে।
রূকমা রায় (Rooqma Roy) : ‘কিরণমালা’ ধারাবাহিকের নায়িকা রুকমা সৌন্দর্য্যে টেক্কা দিতে পারেন বাকি নায়িকাদের। ‘দেশের মাটি’র মাম্পি বা ‘লালকুঠি’র অনামিকা, নায়িকা হিসেবে প্রতিবারই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন রূকমা। যদিও একবার খলনায়িকা হিসেবেও বাংলা সিরিয়ালে তাকে দেখা গিয়েছে। তবে রূকমাকে বাড়ির লক্ষ্মীমন্ত বউ হিসেবেই দেখতে চান দর্শকরা।
অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) : বাংলা সিরিয়ালের লক্ষ্মী বৌমাদের নিয়ে কথা হবে আর লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারের নাম আসবে না তা তো হয় না। জি বাংলার ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ ধারাবাহিকে লক্ষ্মী কাকিমার ভূমিকায় অভিনয় করছেন অপরাজিতা আঢ্য। বাংলা টেলিভিশন এবং সিনেমার সঙ্গে তার বহুদিনের পরিচয়। ছোটখাটো গোলগাল চেহারার লক্ষ্মী কাকিমা একা হাতে সামলাচ্ছেন সংসার এবং তার মুদিখানার দোকান।
সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu) : বাংলা ধারাবাহিকের লক্ষ্মী বৌমা বললে অবশ্যই মিঠাই রানীর নাম নিতেই হয়। মোদক বাড়ির বৌমা মিঠাই নামের মতই মিষ্টি মেয়ে। নিজের হাতে মিষ্টি তৈরি করে সে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করত সাইকেল চড়ে। বাড়ির সব কাজে পারদর্শী মিঠাই রানী বিয়ের পর সংসার সামলিয়ে মোদকদের মিষ্টির কারখানাও সামলায় একা হাতে। সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের যুগলবন্দীতে মোদকদের মিষ্টির ব্যবসা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছে।