পৃথিবীতে সব মেয়েরাই চায় সুন্দরী হতে। কিন্তু সত্যিকারের সুন্দরী (Beautiful) কী বা সুন্দরীর পরিভাষাটাই বা কী? সুন্দরী কী শুধু তারাই যাদের ত্বক ফর্সা হয়, পিঠ পর্যন্ত চুল আর চোখ টানা হয়। এই মেয়েদের দেখলেই তো সকলে মুগ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যাদের দেখতে এমন নয়, বা যাদের মুখ ফর্সা নয় তাড়া কী তাহলে কুৎসিত (Ugly)?
এমন দেখতে মেয়েদের তাহলে সুন্দরী বলাও যায় না। আসলে সমাজের এই তথাকথিত ধারণা চলে আসছে বহুকাল ধরে। আর এই ধারণাকে হাতিয়ার বানিয়ে অপমান করা হয় বহু মেয়েকে। কিন্তু জোড় করে কাউকে কু্ৎসিত প্রমাণিত অধিকার কারুর নেই। আর সৌন্দর্যের কী আদৌ কোনও সংজ্ঞা হয়? বোধহয় হয় না। সবার সুন্দর লাগা আর সুন্দর থাকা সব সময় এক হয় না।
সুন্দর আর সুন্দরী নিয়ে সমাজের এই খারাপ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন টলিউডের তিন অভিনেত্রী। তারা হলেন দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্ঘশ্রী সিন্হা, অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও এই বিষয় নিয়ে নিজেদের কী অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটা শেয়ার করেছেন এই তিন অভিনেত্রী।
এই অভিনেত্রীদের মধ্যে দেবশ্রী হলেন জনপ্রিয় টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রীর দিদি। এক বার একজন তাকে সাদা হাতি বলেছিলেন। তাকে জবাব দিয়ে তিনি বলেন,”এখন উনি যদি এই ভিডিয়ো দেখেন, তা হলে উনি দেখতে পাবেন উনি ওই জীবনটাই কাটাচ্ছেন। আমি কিন্তু নিজের জীবনে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি।”
এরপর অরিজাতা মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “মোটা মানেই কি সে বেশি খাবার খায়? আর খেলেও আপনার খাবার তো খাচ্ছে না!” অন্যদিকে সঙ্ঘশ্রী সিনহা জানিয়েছেন, তারা ওবিসিটিকে সাপোর্ট করছেন না। আসলে এই সব কিছুই নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরবর্তী ছবির প্রচারে করা।
নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ে প্রযোজিত ও অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছবি ‘ফাটাফাটি’ ছবিতে সমাজের এই দিকটাকেই তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবিতে এক স্বামী-স্ত্রীর গল্প দেখানো হয়েছে। যেখানে স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। ছবিতে ঋতাভরী চক্রবর্তী এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য নিজের ওজন ২৫ কিলো পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। খুব শীঘ্রই বড়পর্দায় আসছে এই ছবি।