বিছানায় গেলে তবেই মিলবে কাজ! বাঙালি অভিনেত্রীকে নোংরা প্রস্তাব, তোলপাড় ইন্ডাস্ট্রি

সতীত্ব বিসর্জন দিলেই মিলবে কাজ! নায়িকা হতে চাইলে যেতে হবে বিছানায়! বলিউড হোক বা টলিউড কিংবা হলিউড, কাস্টিং কাউচ আছে সর্বত্রই। তারকাদের মধ্যে প্রত্যেকেই জীবনে কোনও না কোনও সময় কুপ্রস্তাব পেয়েছেন কাজের জায়গাতে। কেউ চুপ থাকেন, কেউ ফাঁস করে দেন গ্ল্যামার দুনিয়ার আড়ালে চলতে থাকা নোংরা দিকটা। যেমনটা করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) এক অভিনেত্রী দীপান্বিতা রায় (Dipanwita Roy)।

বলিউড, বলিউড, হলিউডের মত ঢালিউডও ‘গিভ এন্ড টেক’ পলিসিতে চলছে। বিশেষ করে যারা আউটসাইডার, কর্মজীবনের শুরুতে এমন প্রস্তাব তারা আকছার পান। অনেকেই ভয়ে চুপ থাকেন। কিন্তু কখনও কখনও সাহস করে কেউ কেউ এই নিয়ে কথা বলেন। সম্প্রতি যেমনটা করেছেন দীপান্বিতা। তিনি বাংলাদেশের সিনেমা জগতের পরিচিত মুখ। ছোটবেলা থেকেই তিনি সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে মানুষ হয়েছেন। কয়েক বছর আগে নাটকের প্রযোজনাও করতেন। বিগত ৫ বছর ধরে তিনি অভিনয় দুনিয়াতে স্ট্রাগল করছিলেন। কিন্তু এখন তিনি হতাশ। আর অভিনয় করবেন না বলে ফেসবুকে ঘোষণা করেছেন দীপান্বিতা। সেই সঙ্গে উজাড় করে দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির প্রতি তার ক্ষোভ।

Dipanwita Roy

দীপান্বিতা ফেসবুকে লেখেন, “পাঁচ বছর আগেই শ্রদ্ধেয় ডিরেক্টর তানভীর মোকাম্মেল ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন, ‘দীপা, মিডিয়া তোমার মতো সৎ মেয়ের জন্য নয়।’ গুণীজনের কথা আমি বিশ্বাস করলেও পুরোপুরি মনে ধারণ করতে পারিনি, মানে মন মানেনি। সরকারি চাকরি ছেড়ে যখন আমি ঢাকায় এসেছিলাম, তখন আমি জানতামই না যে, সতীত্ব বিসর্জন না দিলে এখানে একটি কাজও পাওয়া যায় না। ৫ বছর চেষ্টা করলাম আমি, আর কত? গিভ এন্ড টেক অর্থাৎ কারো বিছানায় না গেলে যে সত্যি ই একটিও কাজ পাওয়া যায় না, আমি আসলেই বুঝতে পারিনি।”

দীপান্বিতা আরও বলেন, তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পরপরই ডিরেক্টর গিল্ডের সদস্যদের মধ্যে কিছু ডিরেক্টর তাকে বোঝাতে শুরু করেন হয় তাকে নোংরা প্রস্তাবে রাজি হতে হবে, আর নয় তো নিজেকে ইনভেস্ট করতে হবে ছবিতে। দীপান্বিতা দ্বিতীয় অপশনটা নিয়েছিলেন। তিনি সিনেমাতে ইনভেস্ট করতে শুরু করেন। তবুও তাকে মেইন কাস্ট দেওয়া হচ্ছিল না। তাকে বলা হয় তাকে মেইন কাস্ট করা হলে সেই নাটক টেলিভিশনে চলবে না।

আরও পড়ুন : মানসিক অবসাদে মোটা হয়েছেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় কলম ধরলেন শ্রীলেখা মিত্র

Dipanwita Roy

আরও পড়ুন : আত্মহত্যা নাকি খুন, মহুয়া রায় চৌধুরীর মৃত্যুর রাতে ঠিক কী হয়েছিল?

বিগত ৫ বছর ধরে বড় বড় ডিরেক্টরদের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন অভিনেত্রী। অনেকে তাকে আশ্বাস দিয়েছেন ক্যারেক্টার পেলেই তাকে ডাকা হবে। কিন্তু সেই ক্যারেক্টার আর আসে না। আর কেউ কেউ তো মুখের উপরেই বলেছেন, “গিভ অ্যান্ড টেক ছাড়া তোমাকে কেন কাজ দেব।” প্রথম প্রথম কিছু এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের সহায়তায় কিছু প্রোডাকশনে ছোটখাটো ক্যারেক্টার পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফার্স্ট লটের কাজ হয়ে যাওয়ার পর খোদ ডিরেক্টর তাকে নোংরা প্রস্তাব দিতেন। অভিনেত্রী রাজি হতেন না, কাজেই প্রত্যেক বারই তাকে কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হত। তাই ইন্ডাস্ট্রির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে অভিনয়ে ইতি টানার পরিকল্পনা নিলেন দীপান্বিতা।