মহামারী পরবর্তী সময়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক মানুষ ভাইরাল হচ্ছে, বাংলাদেশের একটি ছেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল তার অদ্ভুত কার্যকলাপের দ্বারা। রাতারাতি ভাইরাল হওয়া বাংলাদেশের এই সেলিব্রিটির নাম আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম (Hero Alom)। এই মানুষটি যত না ট্যালেন্টের জন্য পরিচিত, তার থেকেও বেশি তিনি পরিচিত বিতর্কের জন্য। তিনি যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে পরিবেশন করে থাকেন তাতে প্রতিনিয়ত তৈরি হয় নানান বিতর্ক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হিরো আলম যেভাবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন তাতে বহু কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাতে কিন্তু কোন কিছুতেই আমল না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছিলেন তিনি, আর তার ফল স্বরূপ আজ তিনি বাংলাদেশের খুব সুপরিচিত একজন ব্যক্তিত্ব। তবে হিরোগিরি করার পাশাপাশি তিনি সম্প্রতি রাজনীতির ময়দানে দাদাগিরিও করে বেড়াচ্ছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন এলেই হিরো আলমকে দেখা যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। বারবার হেরে গেলেও তিনি থামেন না। স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির ময়দানে নামার আগে নিজের আর্থিক পরিমাণের কথা জানাতে হয় হলফনামায়, আর এই হলফনামা থেকেই জানা গেছে হিরো আলমের কাছে রয়েছে, ঠিক কত পরিমান সম্পত্তি।
সম্প্রতি হিরো আলম নিজের সম্পত্তি আর রোজগারের বিষয় নিয়ে যে হলফনামা পেশ করেছেন তাতে লেখা রয়েছে, হিরো আলমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৩০ হাজার টাকা। যদিও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০ ভরি সোনা। তবে ব্যাংকে কোন টাকা না থাকলেও সঞ্চয়পত্রের দিক থেকে যেকোনো সেলিব্রিটিকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : দাদাগিরি থেকে কত টাকা পান সৌরভ গাঙ্গুলী? কত টাকার মালিক দাদা?
হিরো আলমের পারিবারিক সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৫৫ লক্ষ টাকার। গত ১১ মাসে তার মিডিয়ায় ব্যবসায় সার্বিকভাবে উন্নতি হয়েছে। আগের তুলনায় হিরো আলম এখন ২২ হাজার টাকা বেশি রোজগার করেন। তবে আগেরবার নির্বাচনে যখন তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তখন তার নামে একটি গাড়ি ছিল যা এখন হলফনামায় উল্লেখ করা নেই। যথা সম্ভব সেই গাড়িটি তিনি বেচে দিয়েছেন বা অন্য কারোর নামে স্থানান্তরিত করেছেন।
আরও পড়ুন : ‘কাঁচা বাদাম’ গানে নেচে রাতারাতি ভাইরাল! কত টাকার মালিক ‘কাঁচা বাদাম গার্ল’ অঞ্জলি অরোরা
আরও পড়ুন : বাদাম কাকুর থেকেও করুণ পরিণতি! দেখুন কী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন রাণু মন্ডল
তবে হলফনামা জমা পরলেও এই বছর তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। চলতি বছর বাংলাদেশের বগুড়া ৪ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন তিনি কিন্তু তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় এই বছর তিনি কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তবে আগামী বছর হয়ত আরো নতুন উদ্যম নিয়ে তিনি ফের নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে।
আরও পড়ুন : ২ স্ত্রী থাকতেও ফের নতুন বিয়ে, হিরো আলমের তৃতীয় স্ত্রীয়ের রূপ দেখলে হিংসে হবে