এই তো সবেমাত্র স্টার জলসায় (Star Jalsha) শুরু হয়েছে নতুন সিরিয়াল বাংলা মিডিয়াম (Bangla Medium)। জি বাংলার পুরনো জনপ্রিয় দুটি নীল ভট্টাচার্য এবং তিয়াসা লেপচার উপর বিশ্বাস রেখে স্টার জলসা নতুন এই সিরিয়ালটি এনেছে জি বাংলাকেই টেক্কা দেওয়ার জন্য। শুরুতেই ট্রোলের মুখে পড়তে হল এই সিরিয়ালটিকেও। গল্পের নায়িকা ইন্দিরার কাণ্ডকারখানা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।
কিছুদিন আগেই মাত্র তিন মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে গেল স্টার জলসার অন্য আরেকটি সিরিয়াল মাধবীলতা। সেখানে মাধবীলতা নাকি পেনের অভাবে লিখতে না পেরে দুই নম্বরের জন্য ফিজিক্সের মত সাবজেক্টে ১০০তে ১০০ পেতে পারেনি! মাধবীর দুঃখের কাহিনী শুনে খুব হেসেছিলেন দর্শকরা। তাকে নিয়ে ট্রোল হয়েছিল খুবই। এবার বাংলা মিডিয়ামের নায়িকাও একইভাবে ট্রোলের শিকার হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্যাপারটা কী ঘটেছিল?
মাধবীলতার মত বাংলা মিডিয়ামেও ফের একবার বিজ্ঞান বিষয়টিকে নিয়ে ছেলেখেলা হল। এমনটাই দাবি করছেন দর্শকরা। কারণ সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে ইন্দিরা কেমিস্ট্রি ল্যাবের আগুন নেভানোর জন্য সালফিউরিক অ্যাসিডের মধ্যে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে জল তৈরি করছে। এমনটা দেখে তো চোখ কপালে উঠেছে দর্শকদের। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই নিয়ে নানা মিম ভিডিও বানানো হচ্ছে।
সিরিয়ালের টিআরপি তোলার জন্য বাস্তবতা ভুলে অনেক সময় অতিরঞ্জিত বিষয়বস্তু দেখাতে হয় চ্যানেলকে। তবে গল্পের গরু গাছে উঠে গেলেই হয় মুশকিল। কারণ দর্শকরা একবার তা ধরে ফেললে ছেড়ে কথা বলেন না মোটেই। ইন্দিরাকেও অনবরত কথা শুনতে হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন গাঁজাখুরি গল্প দেখতে মোটেও রাজি নন দর্শকরা। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।
স্টার জলসার এই সিরিয়ালটি প্রথম থেকেই নানাভাবে বিতর্কের বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারাবাহিকের গল্পটি মূলত বাংলা মিডিয়ামের সঙ্গে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের একটি সংঘাত দেখানো হচ্ছে। এখানে প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে বাংলা মিডিয়ামে পড়া ছেলেমেয়েরা ইংরেজি না বলতে জানলেও ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে বিজ্ঞান পড়াতে পারে।
গ্রামের মেয়ে ইন্দিরা দুদিকে বেনী করে চুল বেঁধে, পায়ের উপর শাড়ি তুলে, লম্বা ছাতা হাতে দোলাতে দোলাতে কলকাতার এই হাইফাই স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে এসে চাকরিটা পেয়েও যায়। আর প্রথম দিন স্কুলের ইন্টারভিউ দিতে এসে সালফিউরিক অ্যাসিডের সঙ্গে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে দিয়ে কেমিস্ট্রি ল্যাবের আগুন নিভিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে পড়ুয়াদের রক্ষা করে সে। এই দৃশ্য দেখে ‘গাঁজাখুরি গল্প’ বলছেন দর্শকরা।