ধৃতিষ্মানকে ‘শাক্য’ চরিত্রে মানাচ্ছে না, Worst Casting বিতর্কে তুমুল শোরগোল নেটপাড়ায়

জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠাই (Mithai) সিরিয়ালটি লিপ নেওয়ার পর থেকে হু হু করে বেড়েছে টিআরপি। গল্পে দুটো ছোট্ট ছোট্ট চরিত্রের আবির্ভাব হয়েছে। শাক্য এবং মিষ্টি, সম্পর্কে তারা ভাই-বোন। সিদ্ধার্থ এবং মিঠাইয়ের সন্তান। শাক্যর চরিত্রে অভিনয় করছেন ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী (Dhritishman Chakraborty) এবং মিষ্টির চরিত্রে অভিনয় করছেন অনুমেঘা কাহালী।

শাক্যকে নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ বিতর্ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই চরিত্রে যে ছোট্ট শিল্পী অভিনয় করছেন তার অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শাক্য এতটাই চুপচাপ যে সেটা নাকি দর্শকদের একাংশের ভাল লাগছে না। তারা সমালোচনা করে লিখছেন ধৃতিষ্মানের মত চুপচাপ বাচ্চাকে নাকি এই চরিত্রের জন্য মানাচ্ছে না।

SID SHAKYA MITHAI

যদিও মিঠাই ভক্তরা এই দাবি মানতে নারাজ। তাদের পাল্টা দাবি ছোট্ট এই বাচ্চাটি চরিত্র অনুপাতে ঠিকই অভিনয় করছে। আসলে ছোট থেকেই সে তার মায়ের ভালবাসা পায়নি। বাবাকে নিয়ে সবসময় ভয়ে ভয়ে থেকেছে। সে তো আর পাঁচটা বাচ্চার তুলনায় অন্যরকম হবেই। ধীরে ধীরে তার চরিত্র শুধরে দিয়েছে মিঠি।

মিঠি আসার আগে পর্যন্ত শাক্য ভীষণ দুষ্টু ছিল। কিন্তু মিঠির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হওয়ার পর তার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সে এখন পড়াশোনাও করে আবার সেই সঙ্গে নাচ-গানেও অংশ নেয়। কিন্তু হঠাৎ করেই সে একদিন জানতে পারি তার মা বেঁচে আছে এবং তার একটা বোনও আছে। এই সত্যিটা তার কাছে একটা বড় ধাক্কার মত।

MITHAI SHAKYA

শুধু তাই নয়, মিঠাইকে ফিরে পেলেও শাক্য তাকে মা বলে ডাকতে পারে না। কারণ তার মায়ের কিছু মনে নেই। মিঠাই যখন তাকে আদর করছিল তখনও সে নিজের আবেগ চাপা দিয়ে রাখে। ফিরে এসে সিডকে বলে, ”পা, আমি কিন্তু কিছু বলিনি।” আবার মিষ্টিকে যখন বলা হয় মিষ্টির মা আসলে শাক্যর মা, তখন মিষ্টি বলে, ‘‘তাহলে তোমার বাবাও (সিদ্ধার্থ) আমার বাবা।”

MITHAI SHAKYA `

মিষ্টির কথা শুনে শাক্য তার পা-র দিকে তাকিয়ে থাকে। মুখে কিছু না বললেও ওই তাকানোটাই বলে দেয়, “পা ও এটা কী বলল? তুমি কি সত্যিই ওর ও পা?” মুখে কিছু না বলেও নিজের এক্সপ্রেশন দিয়ে কথাটা বুঝিয়ে দিয়েছে ধৃতিষ্মান। এই চরিত্রের জন্য যারা ধৃতিষ্মানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন তাদের মুখ বন্ধ করতে পাল্টা মন্তব্য আসে, “ওকে worst বলার আগে নিজেরা শাক্যর চরিত্রটা কেমন সেটা বুঝে উঠতে পেরেছেন কিনা ভেবে দেখুন।”