প্রতিবছর শীতকালে পাড়ায় পাড়ায় আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। যদিও এই মাচা শোয়ের রমরমা এখন অনেকটাই কমে গেছে, কিন্তু তবুও এখনো গ্রামের দিকে, বিশেষ করে শীতের সময় মাচা শো করতে দেখা যায় সেলিব্রিটিদের। সম্প্রতি ঘাটালের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে শোনা গেল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rachana Banerjee)। রচনার গানের বহু গুণমুগ্ধ ভক্ত থাকলেও ঘাটালের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রীর গলায় গান শুনেই অভিনেত্রীর দিকে ধেয়ে এলো কটাক্ষ।
অভিনয় জগতের বহু তারকাকেই গান গাইতে শোনা যায় মাঝেমধ্যেই। যদিও বেশিরভাগ সময় তাদের কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয় বেসুরো গলায় গান গাওয়ার জন্য। তবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যে একজন সুগায়িকা, তার প্রমাণ অনেকবার পেয়েছি আমরা। কিন্তু এবার স্টেজে গান গাইতে গিয়ে কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হল নায়িকাকে।
সম্প্রতি যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে রচনা পরে রয়েছে একটি ডার্ক ব্লু রং এবং সাদা টিশার্ট। গায়ে রয়েছে হালকা হলুদ রঙের একটি সোয়েটার। অনুষ্ঠানে ঝুম ঝুম ঝুম বাবা গানটি গাইতে শোনা গেল অভিনেত্রীকে। এই বয়সেও যেভাবে তিনি নিজের এনার্জি ধরে রেখেছেন তা দেখে রীতিমত মুগ্ধ হয়ে গেছেন সকলে।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যেতেই জনতার মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এক একজন যেমন লিখেছেন, “কানে আঙুল চাপা দিতে হল। আমার বাড়িতে এসো না দিদি।” আবার অন্য একজন লিখেছেন,” কেন যে এরা গান গায়!!” তবে কটাক্ষের পাশাপাশি রচনার প্রশংসাও করতে দেখা গেছে কিছু শ্রোতাদের।
রচনার অনুরাগীদের মধ্যে একজন যেমন লিখেছেন, “কৌশানি থেকে তো ভালো গান গায়।” অন্য একজন লিখেছেন, “কদিন আগে দিতিপ্রিয়ার যা গান শুনলাম তার থেকে অনেক ভালো গান গায় রচনা। এই বয়সেও ওনার যা এনার্জি, তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য।” অন্য একজন লিখেছেন, “এনারা গায়িকা নন আমাদের মত সাধারণ মানুষের অনুরোধে গান গায়। তাই এভাবে সমালোচনা না করাই ভালো।”
আরও পড়ুন : দাদাগিরি নাকি দিদি নাম্বার ১? দর্শকদের বিচারে সেরা কে? রইল ফলাফল
আরও পড়ুন : মাথায় মদের গ্লাস রেখে ‘জামাল কুদু’র তালে নাচলেন রচনা ব্যানার্জী! নিমিষে ভাইরাল ভিডিও
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মেদিনীপুরের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনার গাড়িতে লাগানো গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, স্টিকারটি দেখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই আপত্তি জানান। অনুষ্ঠান শেষে এমন বিতর্কের মুখে পড়ে তড়িঘড়ি স্টিকারটি খুলে ফেলে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।