সালটা ২০০৫, ফেম গুরুকুল (Fame Gurukul) এর সংগীত প্রতিযোগিতা মঞ্চে একঝাঁক নতুন প্রতিযোগী তখন তাদের গানের মাধ্যমে বিচারক থেকে শ্রোতা সকলকেই মুগ্ধ করছেন। তারই মধ্যে একজন ছিলেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh), তার গান দর্শকদের পছন্দ হলেও বিচারকদের না পসন্দ হওয়াতে ফাইনালে ওঠার আগেই তাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
তবে ফেম গুরুকুলে সফর শেষ হলেও আদতে সেটাই কিন্তু ছিল অরিজিৎ সিংয়ের পথ চলার শুরু। কারণ তার গায়কী ততদিনে শ্রোতাদের মনে গেঁথে গিয়েছিল। আজ তিনি দেশের একজন অন্যতম সেরা গায়ক। তার গান যেমন সকলকে মুগ্ধ করে তেমনই তার অতি সাধারণ জীবনযাত্রা দেখে অভিভূত হয়ে যান ভক্তরা।
এত জনপ্রিয়তা, এত খ্যাতি, লাইভ শো-তে যাকে দেখার এবং শোনার জন্য উপচে পড়ে লক্ষ মানুষের ভিড়, নিজেকে নিয়ে এত মাতামাতি তার কেমন লাগে? সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন অরিজিৎ সিং। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন অনেক ছোট বয়স থেকে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। ফেম গুরুকুলের সেই প্রতিযোগিতা থেকেই।
অরিজিতের মনে পড়ে যায় রিয়েলিটি শো থেকে তিনি যখন কলকাতায় ফিরছেন, বিমানবন্দরে নেমেই দেখেন ৩০০০ মানুষ তাকে স্বাগত জানানোর জন্য প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এত মানুষের ভিড় দেখে তিনি চমকে গিয়েছিলেন। তারপর বহু মানুষ তার জিয়াগঞ্জের বাড়িতে এসে তাকে শুভেচ্ছা জানাতেন। অরিজিতের মনে হত যেন তিনি নির্বাচনে জিতেছেন।
প্রথম প্রথম বেশ ভাল লাগত এত মানুষের মাতামাতি, কিন্তু খ্যাতি সামলাতে না পেরে পরে অসুবিধা হত বেশ। এখন যখন মানুষ তাকে চিনতে পেরে জিজ্ঞেস করেন, “আপনি অরিজিৎ সিং না?’’ অরিজিত বলেন, “না না আপনার ভুল হচ্ছে”। মাঝে মাঝে এত ভিড় তিনি নিতে পারেন না। তখন সব কিছু ছেড়ে দিয়ে দূরে কোথাও চলে যান।
আরও পড়ুন : কোথায় হারিয়ে গেলেন অরিজিতের বহুলচর্চিত প্রথম স্ত্রী রূপরেখা? এখন কোথায় আছেন তিনি?
অরিজিতের কথায়, “মাঝে মাঝে যখন আর পারি না ভিড় নিতে তখন দূরে কোথাও চলে যাই। ফোন দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিই। একা থাকি। কিন্তু কাজ তো কাজ। ফিরে আসতেই হয়। মুম্বাই তো আর কাউকে ছেড়ে দেয় না।” শোনা যায় প্লেব্যাক গাওয়ার জন্য নাকি প্রচুর টাকা নেন অরিজিৎ। তার পরিপ্রেক্ষিতে গায়কের উত্তর, “টাকা চার্জ করি না। যার যেমন ইচ্ছে, আমায় দেন। তবে শো-য়ের জন্য আমার ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।”
আরও পড়ুন : ঠিক যেন পাশের বাড়ির ছেলে, প্রতিবেশীদের খোঁজ নিয়ে থলে হাতে বাজার ছুটলেন অরিজিত