বাংলা সিরিয়াল (Bengali Mega Serial) মানেই সেখানে থাকে ঘটনার ঘনঘটা। আর যে সিরিয়ালগুলি টিআরপিতে সেরা পাঁচের তালিকায় দৌড়াচ্ছে তাদের গল্পের মধ্যে টুইস্টের উপর টুইস্ট আসতেই থাকে। দর্শকরা যাতে চ্যানেল থেকে নজর ঘোরাতে না পারেন তার জন্য পুরোদমে গল্পের জাল বুনে চলেছে খেলনা বাড়ি (Khelna Bari)।
জি বাংলার (Zee Bangla) এই সিরিয়ালটি সেরা তিন এর মধ্যে থাকে এখন। টিআরপি টপার এই সিরিয়াল দর্শকের খুবই পছন্দ। বিশেষ করে মিতুল চরিত্রে আরাত্রিকা মাইতির (Aratrika Maity) অভিনয় দেখে তারা মুগ্ধ হন। তবে জানলে অবাক হবেন পর্দায় তাকে দু-দুটি সন্তানের মা হিসেবে দেখানো হলেও বাস্তবে এখনো স্কুলের গণ্ডিও পার হতে পারেননি অভিনেত্রী।
সদ্য আঠারো বছর পেরিয়েছে জীবনের। এখন দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছেন আরাত্রিকা। আর খেলনা বাড়ির নতুন প্রোমোতে দেখানো হচ্ছে তিনি তার মেয়ের হাত ধরে তাকে কলেজে পৌঁছে দিতে নিয়ে যাচ্ছেন। মিতুলের বর্তমান বয়স ১৮, আর তার মেয়ে গুগলির বয়স এখন ২৫!
যদিও বাংলা সিরিয়ালের ইতিহাসে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও করুণাময়ী রানী রাসমণি সিরিয়ালে রানী মা চরিত্রের অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের তুলনায় তার পর্দার মেয়ে, জামাই, এমনকি নাতি-নাতনিদের বয়সও ছিল বেশি। কিন্তু নিজের অভিনয় দক্ষতার গুনে পর্দাতে তা টের পেতে দেননি দিতিপ্রিয়া। আরাত্রিকাও এখন সেই পথে এগোচ্ছেন।
খেলনা বাড়ির নতুন গল্প অনুসারে জন্মের পর হাসপাতাল থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় মিতুলের সদ্যজাত সন্তান। এরপর এগিয়ে যায় বেশ কয়েকটা বছর। মিতুলের মেয়ে গুগলি এখন কলেজ পড়ুয়া। মেয়েকে কলেজে ভর্তি করাতে নিয়ে যেতে গিয়ে পথে আদর নামের একটি ছেলেকে মারামারি করতে দেখে মিতুল।
এরপর ওই ছেলেটিকে এক চড় কষিয়ে দেয় মিতুল। এই ছেলেই যে মিতুলের হারিয়ে যাওয়া ছেলে সেটা বুঝে নিতে কষ্ট হয় না। মিতুল ওরফে আরাত্রিকা নিজেই এখন স্কুল ছাত্রী। তিনি নিজেও ছেলেমেয়েদের সঙ্গে এই বয়সের পার্থক্য নিয়ে অভিনয় চালিয়ে যাওয়াটাকে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন। মিতুলের আচরণগত দিকেও অনেক পরিবর্তন আসবে। তার চেষ্টা করে চলেছেন আরাত্রিকা।