“রাধাকৃষ্ণকে পুজো করলে পরকীয়াকেও জীবনের অঙ্গ মানতে হবে! পরকীয়া না মানলে রাধাগোবিন্দের সব মন্দির ভেঙে দাও!” সম্প্রতি ধর্ম নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন টলিউড অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Auddy)। আর এতেই কার্যত সনাতনীদের ক্ষোভের শিকার হতে হল তাকে। পরকীয়াকে ‘জীবনের অঙ্গ’ এবং সেই সঙ্গে রাধাকৃষ্ণের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া মোটেই মানতে পারছেন না নেট নাগরিকরা। কিন্তু কেন এমন বিতর্কিত মন্তব্য করতে গেলেন অপরাজিতা?
অপরাজিতা আঢ্য এর আগেও পরকীয়ার সমর্থনে কথা বলেছেন। এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন পরকীয়া নাকি সুস্থতার লক্ষণ। রামায়ণ-মহাভারতের যুগেও পরকীয়া ছিল। বিয়ের পরেও অন্য মানুষকে ভালো লাগা, তার সঙ্গে সম্পর্ক করা এসব অপরাজিতার কাছে দোষের কিছু নয়। পরকীয়া মানুষের স্বাভাবিক ও চিরাচরিত ধর্ম বলে মনে করেন অপরাজিতা। আর এবার সরাসরি রাধাকৃষ্ণের প্রসঙ্গ টেনে বিতর্ক বাড়িয়ে তুললেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে অপরাজিতার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায় একটি অনুষ্ঠানে স্টেজের সঞ্চালক অপরাজিতাকে পরকীয়া নিয়ে প্রশ্ন করছেন। তখন অপরাজিতা বলতে শুরু করেন, “দেখো পরকীয়া হচ্ছে চিরকালের শাশ্বত। পরকীয়া থাকবেই। পরকীয়া যদি না থাকে তাহলে সব রাধাগোবিন্দের মন্দির ভেঙে দাও। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণকে যখন আমরা পুজো, করি রাধাকে যখন আমরা পুজো করি, তখন বুঝতে হবে পরকীয়া আমাদের জীবনের অঙ্গ। এটা থাকবেই।”
যদিও অপরাজিতার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়াতে রীতিমত ঝড় উঠেছে। নেট নাগরিকেরা এক বাক্যে তার বিরোধিতা করছেন। কেউ লিখছেন, “বেশিরভাগ পুরুষেরা সমর্থন করলেও নারীরা কিন্তু করবে না। এই বার্তা সমাজে কখনও দেবেন না। রাধা-কৃষ্ণ সম্পর্কে না জেনে ভুলভাল মন্তব্য করবেন না।” আবার কেউ লিখছেন, “আপনি হিন্দু ধর্মকে অপমান করছেন ম্যাডাম।”’
আরও পড়ুন :কথা নয়, বাস্তবে এই সুন্দরীর সঙ্গে প্রেম করছে এভি, প্রকাশ্যে সাহেবের প্রেমিকার পরিচয়
আরও পড়ুন : জ্যোতি বসুর জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ! কাঠগড়ায় এই বলিউড অভিনেতা
আরেক ব্যক্তি অপরাজিতাকে উত্তর দিতে গিয়ে লিখেছেন, “রাধাগোবিন্দ মানে আমাদের আরাধ্য, তাদেরকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য আপনি করবেন না। যেই সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই, সেই সম্পর্কে প্লিজ আপনি কথা বলবেন না। আমাদের আরাধ্য ঠাকুর শ্রীকৃষ্ণ কখনও পরকীয়া সম্বন্ধে জড়িত ছিলেন না। রাধে রাধে।” আরেকজন লিখলেন, ‘‘শ্রী কৃষ্ণ পরকীয়া করেছিলেন, এই দুর্বুদ্ধি আপনাকে কে দিল? তিনি যে মহারাস করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ নৈস্বর্গিক। ভগবানের সঙ্গে ভক্তের একাত্মতা হওয়ার এক চরম নিদর্শন। এই বিষয়ে ফেসবুকে মন্তব্য না করাই ভালো। যদি সাক্ষাৎ সম্ভব হতো তবে এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা সম্ভব হত। আরো একটি কথা, মনে করুন আপনার কথাই সত্য। তাহলে আপনার বক্তব্যের যুক্তি দাঁড়াচ্ছে, ভগবান যা করেছেন আপনি ও তাই করবেন। তবে পারবেন কি মহাদেব শিবের মতো পরহিতার্থে সুতীব্র বিষ পান করে নীলকন্ঠ হতে?’’