বাংলা টেলিভিশন (Bengali Telivision) তথা টলিউডের (Tollywood) জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যকে (Aparajita Adhya) আজ কে না চেনেন? নায়িকাদের নিয়ে প্রচলিত ট্যাবু ভেঙ্গে অপরাজিতা প্রমাণ করে দিয়েছেন নিজের অভিনয় প্রতিভা। প্রথম প্রথম অবশ্য মোটা বলে তাকে অনেক গঞ্জনা সইতে হয়েছে। কিন্তু তার ভারী চেহারা কখনও তার সাফল্যের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
একটা সময় ছিল যখন অপরাজিতার স্বাস্থ্যকর চেহারার জন্য তাকে টেলিভিশনের জন্য টাইপকাস্ট করে ফেলতে চেয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু অপরাজিতা সমানতালে বাংলা ছবিতেও কাজ করেছেন। তার কেরিয়ারের প্রথম ছবি ছিল ‘শিমুল পারুল’। এরপর আরও বিভিন্ন জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি অবশ্য নাচেও বেশ পারদর্শী ছিলেন তিনি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি ছোট ছোট বাচ্চাদের নাচ শেখাতেন। বর্তমানে অপরাজিতার নাচের একটি গ্রুপ রয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি সেখানে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নৃত্যচর্চাও করে থাকেন। বাংলা টেলিভিশন প্রধানত তাকে প্রভূত খ্যাতি এনে দিয়েছে। কিন্তু তিনি নিজেকে সিরিয়ালের মধ্যে আবদ্ধ রাখেননি।
অপরাজিতার মতো একজন দক্ষ অভিনেত্রীকেও চেহারা নিয়ে খোঁটা দিতেন অনেকেই। কিন্তু তারা কখনও তার মনোবল ভাঙতে পারেনি। একবার একটি সাক্ষাৎকারে অপরাজিতা বলেছিলেন, “একটা সময় সিনেমায় অভিনয়ের অফারের সঙ্গে সঙ্গে অযাচিত কিছু দাবিও আসত। সেই তুলনায় তখন টেলিভিশনে কাজ অনেক স্বচ্ছ। আমি ভেবে নিয়েছিলাম, আমার অভিনয়ের মাধ্যম হবে টেলিভিশনই।”
তবে সব অপমানের যোগ্য জবাব চিনি দিতে পেরেছেন শিবপ্রসাদ মুখার্জী এবং নন্দিতা দাসের প্রাক্তন ছবিতে। এই ছবিতে প্রসেনজিতের বিপরীতে অভিনয় করে তিনি তার জাত চিনিয়েছেন। তার কথায়, “একসময় অনেকে আমায় বলতেন, আমায় নাকি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। সেখানে বুম্বাদার বিপরীতে অভিনয় করার সুযোগ যেন আমার কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।”
এই ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি পরিচালক নন্দিতা দাস এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শুধু প্রাক্তন নয়, শিবপ্রসাদ-নন্দিতার হামি, বেলা শেষ থেকে শুরু করে মুখার্জিদার বউ, চিনি, একান্নবর্তী, কলকাতা চলন্তিকা, জেনারেশন আমি, রসগোল্লা, প্রজাপতি বিস্কুট ইত্যাদি বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অপরাজিতা।